ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের (Tripura Election 2023) প্রচার শেষের দিন আক্রান্ত রাজ্য মহিলা কমিশনের (state Commission for Women) চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী (Barnali Goswami)। তাঁকে টেনে হিঁচড়ে মারধর করায় অভিযুক্ত বিজেপি মহিলা মোর্চার কর্মীরা। প্রকাশ্যে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন আক্রান্ত হলেও তাঁর নিরাপত্তায় পুলিশ কর্মীদের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন। অভিযোগ, হামলার সময় নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে সব দেখেছে পুলিশ।
রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন নিজে বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী ছিলেন। তাঁকে মারধরে অভিযুক্ত বিজেপির মহিলা মোর্চার কয়েকজন। তাঁদের অভিযোগ, বর্ণালী গোস্বামী দলীয় প্রার্থী বিশ্ববন্ধু মজুমদারের বিরুদ্ধে ভোট কাটার ছক করেছেন। তবে অভিযোগ উড়িয়ে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামীর পাল্টা দাবি, ভোটের দুদিন আগে তাঁর উপর হামলা দলেরই ক্ষতি ডেকে আনলেন মহিলা মোর্চার সদস্যরা।
ত্রিপুরা সরগরম। বিরোধী সিপিআইএম ও কংগ্রেসের কটাক্ষ, রাজ্যে বিজেপি সরকারের আমলে আইন শৃঙ্খলার চেহারা কেমন তা আরও স্পষ্ট হয়ে গেল। নারী নিরাপত্তা নিয়ে বড়াই করা বিজেপি সরকারের আমলে খোদ রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের নিরাপত্তা প্রমাণ করছে এ রাজ্যে নারীরা কতটা নিরাপত্তাহীন।
এই ঘটনার কেন্দ্র ধর্মনগর। হামলার পর বর্ণালী গোস্বামী ক্ষোভ উগরে বলেন, ভোটের মাত্র দুদিন বাকি। এমন সময় আমাকে যেভাবে হেনস্থা করা হল তা বিজেপির পক্ষে ক্ষতি হবে। পুরো ঘটনাটিকে তিনি দলীয় অন্তর্ঘাত বলেছেন।
আর হামলায় অভিযুক্ত নারী মোর্চার সদস্যরা বলেছেন, রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী টাকা বিলিয়ে বিজেপিরই প্রার্থীকে হারানোর জন্য মরিয়া।আক্রান্ত বর্ণালী গোস্বামী দাবি করেন, ভোটের শেষ প্রচারের জন্য বিজেপি যুব মোর্চা নেতার বাড়িতে এসেছিলাম। নিজেদের মধ্যে আলোচনার সময় কয়েকজন মহিলা বিজেপির সমর্থক আমাকে মারধর করেন। আমার নিজের দলের কর্মীরা এমন করছে।