পশ্চিমবঙ্গের মতো সন্ত্রাসের ভোট শুরু ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে। (Tripura Election 2023) কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি থাকলেও বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট লুঠেরাদের হামলা বাড়ছে। আবার জনতার প্রতিরোধে একাধিক এলাকা থেকে পালাতে দেখা যাচ্ছে দুষ্কৃতিদের। আবার ভোট লু়ঠের আশঙ্কায় সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ সারি। একাধিক ভোট গ্রহণ কেন্দ্র থেকে ইভিএম বিকলের অভিযোগ আসছে।
রাজ্যের কাঁকড়াবন শালগড়া বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিআইএমের দুই পোলিং এজেন্টকে মেরে গুরুতর জখম করা হ়য। জখম অমিত কুমার ভৌমিক এবং রুফিকুল ইসলামকে মারধরে অভিযুক্ত শাসক দল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিরা। অন্যদিকে বেশ কয়েকটি এলাকায় বিজেপি কর্মীরা মার খেয়েছেন।
কমিশনের নিরাপত্তা আশ্বাসের মাঝে ভোটারদের উপর হামলা কেন উঠছে প্রশ্ন। রাম-বাম ভোট যুদ্ধ চলছে ত্রিপুরায়। রাতভর একাধিক হামলা ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন ভোটার। তবে আগরতলায় মুখ্যমন্ত্রী ড মানিক সাহা বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। তিনি বলেন, রাজ্যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করছে সিপিআইএম ও কংগ্রেস। জয়ী হবে বিজেপি।
বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার জনগণকে একজোট হয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিংহ, তিপ্রা মথা প্রধান রাজা প্রদ্যোত দেববর্মণ, তৃ়ণমূল কংগ্রেস প্রদেশ সভাপতি পীযুষ বিশ্বাস আগেই বলেছেন রাজ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিজেপিকে রুখতে ভোট দিন।
এদিকে বিক্ষিপ্ত হিংসা চলছে। নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। বেলা বাড়লে আরও হিংসা ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ত্রিপুরার ৬০টি আসনের জন্য মূল লড়াই শাসক বিজেপি জোট বনাম বিরোধী বাম-কংগ্রেস জোটের। আর উপজাতি এলাকার শক্তিশালী তিপ্রা মথা ২০টি আসনে যে কোনও সমীকরণ গড়ে দিতে পারে। গত বিধানসভা ভোটে এ রাজ্যে টানা পঁচিশ বছরের বাম শাসনের পরিবর্তন হয়। এবারও কি পরিবর্তন এই প্রশ্ন রেখেই বাংলা ও ককবরকভাষী প্রধান রাজ্য ত্রিপুরার নির্বাচনে ভোটারদের রায় ইভিএম বন্দি হচ্ছে।