Tripura: ভাবশিষ্য-‘মন্ত্রীর উপস্থিতিতেই’ কংগ্রেস প্রার্থীকে খুনের চেষ্টা, সংকটে সুদীপ বর্মণ

ত্রিপুরার (Tripura) চারটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনের আগে সন্ত্রাস মারাত্মক আকার নিতে চলেছে। অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা যতই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফেরানোর বার্তা দিন তা আসলে কার্যকরী…

ত্রিপুরার (Tripura) চারটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনের আগে সন্ত্রাস মারাত্মক আকার নিতে চলেছে। অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা যতই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফেরানোর বার্তা দিন তা আসলে কার্যকরী হবে মা। আরও অভিযোগ, ভোট সন্ত্রাসে অভিযুক্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের রিগিং বাহিনী ভোট বানচালে তৈরি। আগামী ২৩ জুন উপনির্বাচন। তার আগেই আক্রান্ত রাজ্যের অন্যতম হেভিওয়েট নেতা ও কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মণ। তিনি সংকটজনক।

৬-আগরতলা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মণের উপর হামলা হয় শনিবার। হামলায় অভিযুক্ত বিজেপি। জানা গিয়েছে, আগরতলার অভয়নগরে রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ সেখানেই সুদীপবাবুকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। কোনওরকমে তিনি বাঁচেন। রাতেই তাঁকে আগরতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অভিযোগ, সুদীপবাবুর রাজনৈতিক ভাবশিষ্য তথা বিজেপি সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর উপস্থিতিতে এই হামলা হয়েছে। ত্রিপুরার রাজনীতিতে সুদীপবাবু হলেন সুশান্ত চৌধুরীর রাজনৈতিক গুরু। ফলে রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে। যদিও সুশান্তবাবুর তরফে সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।

৬-আগরতলা কেন্দ্রের প্রার্থী সুদীপবাবুকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে এই অভিযোগে সরব প্রদেশ কংগ্রেস। রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে।

সুদীপ রায় বর্মণ ত্রিপুরার অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা। তিনি টানা ২৫ বছরের বামফ্রন্ট আমলে কংগ্রেসের হয়ে বারবার জয়ী হয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে গত বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেস বিধায়করা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। পরে তারা বিজেপিতে যান। ভোটে বিজেপি সরকার গড়ে। সুদীপবাবু হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে সংঘাতের কারণে তিনি বিজেপি ছেড়ে ফের কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।