ঘরে ঘরে চাকরির দাবি ভুয়ো। বিজেপি সরকার ধোঁকাবাজি করেছে। এমনই অভিযোগ তুলে নিজেদের বাতিল হওয়া চাকরি ফেরত চেয়ে ফের বিক্ষোভে ত্রিপুরার (Tripura) কর্মচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা। বিক্ষোভ সামলাতে ফের পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন। অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের নির্দেশে এমন হয়েছে।
গত চার বছরে চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে শতাধিকের মৃত্যু হয়েছে অনটনে বিনা চিকিৎসায়। আত্মঘাতী হয়েছেন অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা। আত্মঘাতী শিক্ষকের চিতায় সন্তান সহ সহমরণ করতে চাওয়ার মতো ঘটনায় দেশ আলোড়িত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ফের আগরতলা সরগরম। ১০৩২৩ শিক্ষক সংগঠন চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ নামে। পুলিশ জানায় কোভিড বিধি ভঙ্গ করে জমায়েত করায় বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করা হয়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, সরকার নিজের ত্রুটি আড়াল করতে চায়। রাজ্যে বিজেপি জোট সরকার কর্মসংস্থানের যে দাবি করেছিল তা মিথ্যে। কোভিড বিধি দেখিয়ে বিক্ষোভ থামানো যাবে না। আরও অভিযোগ, সরকারে থাকা দল বিজেপি জমায়েত করলে তখন পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকে।
রাজ্যে গত বাম জমানায় ১০৩২৩ জন শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ত্রুটি আছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মামলায় আদালত চাকরি বাতিল করে। তবে বামফ্রন্ট সরকার জানায় বিকল্প রোজগারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর মাঝে সরকারের পরিবর্তন হয়। বিকল্প রোজগার চেয়ে ১০৩২৩ সংগঠন লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছে।