মোদী সরকারের বিরোধিতায় ফের বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দিল তৃণমূল

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদী সরকারের (Narendra modi goverment) বিরোধিতায় ফের বিরোধীদের সঙ্গে একই জোটে সামিল হল তৃণমূল কংগ্রেস (trinamul congress)। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার লোকসভায়…

Trinamool joined the opposition parlament

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদী সরকারের (Narendra modi goverment) বিরোধিতায় ফের বিরোধীদের সঙ্গে একই জোটে সামিল হল তৃণমূল কংগ্রেস (trinamul congress)। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার লোকসভায় (Lokshaba) সেন্ট্রাল ভিজিলান্স কমিশন (সংশোধনী) বিল এবং দিল্লি পুলিশ স্পেশাল এস্টাবলিশমেন্ট (সংশোধনী) বিল পেশ করে। এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করে কংগ্রেস-সহ আরও বেশ কয়েকটি বিরোধী দল। শুক্রবার (friday) বিরোধীদের সেই জোটে সামিল হল তৃণমূল কংগ্রেস।

উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তাদের কার্যকালের মেয়াদ ছিল দুই বছর। সেই মেয়াদ তিন বছর বাড়িয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কেন্দ্র এক অর্ডিন্যান্স জারি করে জানিয়েছে, প্রথম দুই বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পরবর্তী ক্ষেত্রে এক বছর করে আরও তিন বছর মেয়াদ বাড়ানো যাবে। প্রথম থেকেই সরকারের এই অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করেছিল প্রায় সবকটি বিরোধী দল।

   

এদিন ওই বিল আনার পর তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় বলেন, সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট বলেছে সিবিআই হল খাঁচায় বন্দি তোতা। মোদী সরকারের এই অধ্যাদেশ সিবিআইকে আরও বেশি করে বন্দি করারই পরিকল্পনা। তাঁর দাবি, এই বিল গণতন্ত্র বিরোধী। নিজের লোককে সিবিআইয়ের মাথায় রেখে বিরোধীদের হেনস্থা করাই এই বিলের একমাত্র উদ্দেশ্য।

অন্যদিকে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, এই বিল থেকে এটা স্পষ্ট যে, এই মুহূর্তে সিবিআই ও ইডির ডিরেক্টর হওয়ার মতো কোনও উপযুক্ত আধিকারিককে এই দেশে খুঁজে পাচ্ছে না মোদী সরকার। কারও সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করে সরকার নিজেদের ইচ্ছামত সবকিছু করছে। আসলে মোদী সরকার চায়, তাদের কথায় উঠব বসবে এমন এক ‘ইয়েস বস’কে সিবিআই, ইডির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের মাথায় রাখতে।

তবে বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে সরকার। সরকারের পাল্টা দাবি, ২০১৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমলেই সিবিআইকে খাঁচায় বন্দি তোতা বলা হয়েছিল। কিন্তু এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। সিবিআই ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করে থাকে। তাই কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের এই দাবি ঠিক নয়। তাছাড়া সিবিআই বা ইডির ডিরেক্টরের মেয়াদ সর্বোচ্চ পাঁচ বছর করা হয়েছে, তার বেশি নয়।