‘এক দেশ এক নির্বাচন’-এ অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা

২৪-এর লোকসভা ভোট মিটতে না মিটতেই বিরাট চমক দিল কেন্দ্রীয় সরকার। আজ বুধবার ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ (One Nation, One Election)-এর বিষয়টিকে অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা।…

২৪-এর লোকসভা ভোট মিটতে না মিটতেই বিরাট চমক দিল কেন্দ্রীয় সরকার। আজ বুধবার ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ (One Nation, One Election)-এর বিষয়টিকে অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা। আজ বুধবার এমনই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সুপারিশ মেনে নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।’ অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও বলেন, “রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশই এক দেশ এক নির্বাচনের উদ্যোগকে সমর্থন করেছে। যখন তারা উচ্চ পর্যায়ের সভাগুলির সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করে, তখন তারা খুব সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে এবং অনেক স্পষ্টতার সাথে তাদের ইনপুট দেয়। আমাদের সরকার দীর্ঘমেয়াদে গণতন্ত্র এবং জাতিকে প্রভাবিত করে এমন বিষয়গুলিতে ঐকমত্য তৈরিতে বিশ্বাস করে। এটি এমন একটি বিষয়, এমন একটি বিষয় যা আমাদের জাতিকে শক্তিশালী করবে।’

   

দেশে বিধানসভা ও লোকসভা ভোট একসঙ্গে করার পথ এখন সহজ হয়েছে। এক দেশ এক নির্বাচনের প্রস্তাব আজ অনুমোদন দিয়েছে মোদী মন্ত্রিসভা। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটির রিপোর্টের পর মন্ত্রিসভায় এই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।  গত মেয়াদ থেকেই এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে সিরিয়াস ছিল মোদী সরকার। প্রধানমন্ত্রী মোদী বহুবার এক দেশ এক নির্বাচনের কথা বলেছেন এবং নির্বাচনী জনসভায়ও বলেছেন। সম্প্রতি এনডিএ সরকারের ১০০ দিন পূর্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক দেশ এক নির্বাচনের এনডিএ-র সংকল্পের পুনরাবৃত্তি করেন। বিলটি এখন সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে পেশ করা হবে।

বর্তমানে ভারতে বিভিন্ন সময়ে দেশের বিধানসভা নির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে এক দেশ এক নির্বাচন মানে সারা দেশে লোকসভা ও বিধানসভা একসঙ্গে নির্বাচন। অর্থাৎ, ভোটাররা লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভার সদস্যদের নির্বাচনের জন্য একই দিনে, একই সময়ে বা পর্যায়ক্রমে তাদের ভোট দেবেন।

ভারতে একযোগে ভোটদানের ইতিহাস ১৯৫১-৫২ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম সাধারণ নির্বাচন থেকে। সেই সময় লোকসভা এবং সমস্ত রাজ্য বিধানসভার জন্য একসঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হত। ১৯৫৭, ১৯৬২ ও ১৯৬৭ সালে অনুষ্ঠিত তিনটি সাধারণ নির্বাচনে এই প্রথা অব্যাহত ছিল। তবে, ১৯৬৮ এবং ১৯৬৯ সালে একযোগে নির্বাচনের চক্রটি বাধাগ্রস্ত হয়েছিল, যখন কিছু রাজ্য বিধানসভা অকালে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। ১৯৭০ সালে লোকসভাও অকাল ভেঙে দেওয়া হয়েছিল এবং ১৯৭১ সালে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তারপর থেকে একসঙ্গে নির্বাচনের রীতি আর চাঙ্গা হয়নি। শুধু একসঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠানের রেওয়াজ ছিল, এর জন্য কোনো আইনি বিধান ছিল না, এই প্রথা ভাঙার কোনো আইনও ছিল না।