Manipur: বিজেপি শাসিত মণিপুরে ‘বাঙালিদের কেটে ফেলার হুমকি’, মুখ্যমন্ত্রীর ফোন ধরলেন না বীরেন সিং

বিজেপি শাসিত মণিপুরে (Manipur) নতুন করে সংঘর্ষ না ছড়ালেও পরিস্থিতি থমথমে। যে কোনও মুহূর্তে ফের সংঘর্ষ ছড়াতে পারে। অভিযোগ রাজধানী ইম্ফল সহ মণিপুরে বসবাসকারী বাংলাভাষীদের…

Manipur: বিজেপি শাসিত মণিপুরে 'বাঙালিদের কেটে ফেলার হুমকি', মুখ্যমন্ত্রীর ফোন ধরলেন না বীরেন সিং

বিজেপি শাসিত মণিপুরে (Manipur) নতুন করে সংঘর্ষ না ছড়ালেও পরিস্থিতি থমথমে। যে কোনও মুহূর্তে ফের সংঘর্ষ ছড়াতে পারে। অভিযোগ রাজধানী ইম্ফল সহ মণিপুরে বসবাসকারী বাংলাভাষীদের রাজ্য ছাড়া করার জন্য বারবার হুমকি আসছে। আরও অভিযোগ, সংঘর্ষ চলাকালীন ইম্ফলের বহু বাঙালি পরিবারের ঘরে ঢুকে গলা কেটে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। (Threatened to cut off Bengalis in BJP-ruled Manipur) আক্রাম্ত বাঙালি পরিবারগুলির অভিযোগ, হামলাকারীরা রাজ্যের সংখ্যাগুরু মেইতেই জনগোষ্ঠির। তারাই মূলত হামলা চালিয়েছে। তবে মেইতেইদের দাবি, উপজাতি অধিকার চাই।

মণিপুরের জনসংখ্যার সংখ্যাগুরু হলেন মেইতেইরা। তারা হিন্দু ধর্মাবলম্বী। আর পার্বত্য এলাকায় থাকা কুকি, নাগা সহ অন্যান্য উপজাতিরা মূলত খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। এরা সংখ্যালঘু। বিজেপি শাসিত রাজ্যে উপজাতি তালিকায় মেইতেইদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিক্ষোভ ও কয়েকটি চার্চ ভেঙে দেওয়ার জেরে মণিপুরের পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে সেনাবাহিনী নামাতে হয়েছে। সরকারি কয়েকজন কর্মকর্তাকে খুনের অভিযোগ আসছে। তেমনই বিক্ষোভকারীদের হাতে মার খেয়ে শাসকদল বিজেপির বিধায়ক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বেসরকারি হিসেবে মণিপুরে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত।

অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং রাজ্যে মেইতেই ও উপজাতিদের মধ্যে বিভেদের জন্য দায়ি। বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করে মণিপুরে থাকা বিভিন্ন উপজাতিদের অধিকার থর্ব করতে চায়। অভিযোগ, রাজ্যে থাকা বাঙালি সহ অন্যান্য রাজ্যের বাসিন্দাদের সরানোর চেষ্টা চলেছে।

Advertisements

গত কয়েকদিনে ইম্ফলে বারবার আক্রাম্ত হয়েছেন পড়তে আসা ত্রিপুরা, অসম ও পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে বাংলাভাষী পড়ুয়ারা তীব্র আতঙ্কিত। মণিপুর ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যের গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে বাঙালিদের উপর হামলা ও কেটে ফেলার হুমকি সংবাদ। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি আপাত থামলেও আতঙ্ক কমেনি।

মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার জন্য সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সাথে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা ফোন করেছিলেন। আগরতলায় তিনি জানান, বীরেন সিং ফোন ধরেননি। এই দুই বিজেপি শাসিত রাজ্যে দুই রাজ্যের নাগরিকদের যাতায়াত ঘনঘন। তেমনই অসমের বরাক উপত্যকার কাছাড়, হাইলাকান্দি, করিমগঞ্জের মত বাংলাভাষী এলাকাবাসী, মেঘালয়,পশ্চিমবঙ্গের অনেক বাঙালিরা বিভিন্ন সূত্রে মণিপুরে থাকেন।