IAF gets Missile Offer: ভারতীয় বায়ুসেনা নিজেকে শক্তিশালী করার জন্য ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি, ভারতীয় বায়ুসেনা আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য র্যাম্পেজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় সাফল্য অর্জন করেছে। এখন আইএএফ আরও দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের প্রস্তাব পেয়েছে, এগুলিও আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। একটি ক্ষেপণাস্ত্রের নাম উইন্ড ডেমন এবং অন্য ক্ষেপণাস্ত্রের নাম আইস ব্রেকার।
উইন্ড ডেমন মিসাইল
এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে ইজরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ। এর ওজন প্রায় ৩০৮ পাউন্ড অর্থাৎ ১৪০ কিলোগ্রাম। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লাও প্রায় ১২৪ মাইল অর্থাৎ ২০০ কিলোমিটার। এটি একটি হালকা ওজনের ক্ষেপণাস্ত্র, যা আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। এটি হেলিকপ্টার এবং যুদ্ধবিমানের সাথে একীভূত করে উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি লেজার হোমিং সিকার এবং ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত, যা দিনে বা রাতে যেকোনো সময় অপারেশন চলাকালীন সঠিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
আইস ব্রেকার ক্ষেপণাস্ত্র
আইস ব্রেকার ক্ষেপণাস্ত্রটি রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমস দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে আরও তথ্য এখনও প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু র্যাম্পেজের মতো এটিও একটি সুপারসনিক এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হতে চলেছে। এটি উন্নত ন্যাভিগেশন সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত, যা লক্ষ্যবস্তু ট্র্যাক করতে সহায়তা করে।
এই দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের লাভ কী? এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি দূরপাল্লার লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে পারে। এগুলো শত্রুর বাঙ্কার বা অন্যান্য ঘাঁটি ধ্বংস করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। তাদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এগুলি সহজে অ্যাক্সেসযোগ্য লঞ্চ প্ল্যাটফর্ম থেকে উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি কিছু দিক থেকে র্যাম্পেজের চেয়েও উন্নত হতে পারে। ভারত ইতিমধ্যেই স্থানীয়ভাবে র্যাম্পেজ এবং রকসের মতো বিদেশী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে, এখন যদি আমরা এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আরও বেশি পাই তবে ভারতের প্রতিরক্ষা খাত আরও এগিয়ে যাবে।