ড্রোন বোমা তৈরি হচ্ছে গোপন ডেরায়। সেই দূর নিয়ন্ত্রিত ড্রোন উড়িয়ে ঠিক পুলিশ ও আধা সেনার মাথার উপর ফেলা হচ্ছে। বিস্ফোরণে কাঁপছে এলাকা। হিংসা কবলিত (Manipur) মণিপুরের এরকমই বিস্ফোরক ছবি এসেছে Kolkata 24×7 এর কাছে। গত চব্বিশ ঘণ্টা ধরে ফের সংঘর্ষে রক্তাক্ত মণিপুর।
PTI জানাচ্ছে, রবিবার মণিপুরের ইম্ফল পশ্চিম জেলায় ফের উত্তেজনা দেখা দেয়। জঙ্গিরা বন্দুক ও বোমা হামলা চালালে একজন মহিলাসহ দুই ব্যক্তি নিহত এবং নয়জন আহত হন। রাজ্য পুলিশের তথ্য, জঙ্গিরা পাহাড়ের চূড়া থেকে কাউতরুক এবং পার্শ্ববর্তী কাদাংবন্দের নিচু উপত্যকা অঞ্চলের দিকে নির্বিচারে গুলি চালায়। জঙ্গিদের ভারী গোলাগুলির কারণে বেশ কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাজ্যের বিজেপি সরকারের দাবি, কুকি গোষ্ঠীর সশস্ত্র সংগঠন হামলায় জড়িত। তবে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বিরুদ্ধে জাতিগত অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ এনে রাজ্য জুড়েই কুকি সংগঠনের বিক্ষোভ চলছে। অভিযোগ, বীরেন সিং ফের রাজ্যে মেইতেই ও কুকি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ ছড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন।
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার ২
গত এক বছরের বেশি সময় ধরে মণিপুরে চলছে জাতি সংঘর্ষ। নিহত বহু। সংঘর্ষ কবলিত মণিপুরে না গেলেও প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছিলেন, শান্তি ফিরছে দ্রুত। তবে বারে বারে সংঘর্ষ হয় মণিপুরে। এবার যুদ্ধের জন্য ব্যবহার করা ড্রোন বোমা নিয়ে হামলার ছবিতে রাজ্য সরকার চিন্তিত। মণিপুরসহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে অত্যন্ত সক্রিয় সশস্ত্র সংগঠনগুলি বিদেশি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। তবে ড্রোন বোমার ব্যবহার এই প্রথম হল।
সর্বভারতীয় আর্থিক সংবাদমাধ্যম Moneycontrol মণিপুরের অভ্যন্তরীন পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদনে লিখেছে, হামলাকারীদের ড্রোন বোমা ব্যবহারকে মণিপুর পুলিশ অভূতপূর্ব বলে চিহ্নিত করেছে। মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে, ড্রোন দিয়ে বোমা ফেলে হামলা চালানো হয়েছিল, যা অভূতপূর্ব।
Northeast live জানিয়েছে, সোমবার পশ্চিম ইম্ফলের আরেক দফা গুলিবর্ষণ হয়। সংঘর্ষ-বিধ্বস্ত মণিপুরের পরিস্থিতি আবারও অত্যন্ত অস্থির হয়ে উঠেছে এবং পাহাড় এবং উপত্যকার মধ্যবর্তী অঞ্চলগুলির সাথে একাধিক জায়গা থেকে গুলির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। রাজধানী ইম্ফল থেকে উখরুল সড়কের পাশে পাহাড়ের দিক থেকে ইম্ফল পশ্চিমের ইয়ানিংপোকপি থেকে নতুন হামলার খবর পাওয়া গেছে।
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং জানিয়েছেন হামলা রুখতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিরোধী দল কংগ্রেসের কটাক্ষ বিজেপির আমলে মণিপুরের জনজীবন রক্তাক্ত। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কেশাম মেঘচন্দ্র বলেছেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে ছয় মাসের মধ্যে শান্তি ও স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে। আমরা কীভাবে এটি বিশ্বাস করব? এটা বিশ্বাসের বাইরে। গত 15 মাসে, সরকার শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য কোনো ব্যবস্থা করেনি। আমরা কীভাবে বিশ্বাস করব? জনগণের প্রতি উপহাস।