যোগীরাজ্যে ফের হতে চলেছে ‘মুসলিম জায়গার’ নাম পরিবর্তন!

লখনউ: মুঘলসরাই, এলাহাবাদের পর এবার আরও এক জায়গার নাম পরিবর্তন কোর্টে চলেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। লখিমপুর খেরির মুস্তফাবাদের (Mustafabad) নাম পরিবর্তন করে ‘কবীরধাম’ করা হিবে বলে সোমবার ঘোষণা করলেন যোগী আদিত্যনাথ।

Advertisements

তিনি বলেন মুস্তফাবাদের নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে সন্ত কবীরের সঙ্গে সম্পর্কিত জায়গার ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয় পুনরুদ্ধার হবে। তিনি বলেন, আগের শাসকদের দ্বারা যেসব জায়গার নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল, তা মুছে দিয়ে, স্থানের আদি নামকেই পুনঃপ্রতিষ্ঠার ধারা চালিয়ে যাবে তাঁর সরকার।

   

সোমবার স্মৃতি মহোৎসব মেলা ২০২৫-এর একটি জনসভায় যোগী ঘোষণা করেন, “কবরস্থানের জায়গা বাড়ানোর পরিবর্তে উত্তরপ্রদেশ (Uttarpradesh) সরকার এবার ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক জায়গা নিরমানে খরচ করছে”। শুধু তাই নয়, উত্তরপ্রদেশের একটি গ্রামের নাম ‘মুস্ফাতাবাদ’ রাখা হয়েছিল শুনে ‘অবাক হয়েছিলেন’ বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

এদিন জনসভায় আসা মানুষদের তিনি বলেন, “আমি যখন জিজ্ঞেস করলাম, এই গ্রামে কতজন মুসলিম (Muslim)থাকে? তখন বলা হয়, একজনও না! তাই আমি বলেছি, এই গ্রামের নাম পরিবর্তন করে কবীরধাম রাখা উচিৎ”।

নাম পরিবর্তনের জন্য শ্রিঘই প্রস্তাব আনা হবে

Advertisements

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, তাঁর সরকার জায়গার নাম পরিবর্তনের জন্য খুব শ্রিঘ্রই আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেশ করবে এবং প্রশাসনের সঙ্গেও এই বিষয়ে আলোচনা করবে। মূলত মোঘল এবং মুসলিম-শাসকদের কটাক্ষ করে এদিন যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “আগেকার শাসকরা অযোধ্যার নাম পরিবর্তন করে ফৈজাবাদ, প্রয়াগরাজকে এলাহাবাদ, কবীরধামকে পরিবর্তন করে মুস্তাফাবাদ করেছিলেন। আমাদের সরকার তা পুনরায় পরিবর্তন করে স্থানের আদি নাম ফিরিয়ে আনছে।”

পাশাপাশি, এদিন আদিত্যনাথ দাবী করেন, ভারতীয় জনতা পার্টির “ডাবল-ইঞ্জিন সরকার” রাজ্য জুড়ে সমস্ত ধর্মীয় স্থানের উন্নয়ন এবং সৌন্দর্যায়নের কাজ কোর্টে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

“সব তীর্থস্থলের সৌন্দর্যায়ন করা উচিৎ”

সোমবার যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) আরও বলেন, “আমার মতে, সব তীর্থস্থানের সৌন্দর্যায়ন জরুরী। ভক্তদের জন্য বিশ্রাম ঘর, আশ্রয়স্থলের সুবিধা থাকা উচিৎ।” পর্যটন ও সংস্কৃতি বিভাগের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় স্থানকে পুনরুজ্জীবিত করা হচ্ছে বলে দাবী করেন আদিত্যনাথ।