বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে চোরাচালান বাড়ছে। সেই সঙ্গেই বাড়ছে অনুপ্রবেশ। গ্রামীণ সীমান্তগুলিতে নাশকতার ঘটনাও কম নয়। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে চোরাচালান, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে (border security) বড় পদক্ষেপ করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সূত্রের খবর, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে পাঁচশোর বেশি নতুন কম্পোজিট বর্ডার আউটপোস্ট (সিবিওপি) তৈরি করা হবে। এর মধ্যে তিনশোর বেশি সিবিওপি তৈরি হবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। বাকি তৈরি হবে ভারত ও পাক সীমান্তে।
কী কাজ এই সিবিওপির? আধুনিক সিবিপিওগুলি তৈরি হয়ে গেলে সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি আরও শক্তপোক্ত হবে। এর ফলে সীমান্ত এলাকাগুলিতে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাবে। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক সীমান্ত লঙ্ঘন বা দখলের চেষ্টাও রুখে দেওয়া যাবে। সীমান্তে চোরাচালান, অনুপ্রবেশ রুখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে সে নিয়ে আগেও দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে একযোগে কাজ করার কথা বলা হয়েছিল। সীমান্তে চোরাচালান সবচেয়ে বড় সমস্যা। বিশেষত নেশার ওষুধ এবং আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের অভিযোগ বাড়ছে।
সীমান্ত এলাকাগুলিতে বর্তমানে ১০৯৬ টি বিওপি রয়েছে। আরও ৩৮৩টি সিবিওপি তৈরি হলে সীমান্ত সুরক্ষা আরও উন্নত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আধুনিক সিবিওপিগুলিতে সীমান্তে জওয়ানদের থাকার জন্য বন্দোবস্তও করা হচ্ছে। সেখানে থাকবে সেনা ব্যারাক। তাতে জওয়ানদের জন্য রান্নাঘর, একটি ডাইনিং হল, একটি গ্যারেজ, একটি জেনারেটর রুম, একটি টয়লেট ব্লক, একটি প্রশাসনিক ব্লক, একটি ওয়্যারলেস রুম, একটি অস্ত্র রাখার জায়গা থাকবে। সিমেন্টের বাঙ্কারও তৈরি করা হবে সেখানে। থাকবে চিকিৎসার ব্যবস্থাও। সীমান্তে বিএসএফের জন্য থাকে বিওপি। এবারও তারই উন্নত সংস্করণ তৈরি হচ্ছে সিবিওপি।
ভারত পাকিস্তানের মধ্যে ৩৩৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে। এলাকায় মোট ৭৩৬টি সিবিওপি তৈরির অনুমোদন দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ইতিমধ্যেই ছশোটির মতো সিবিওপি তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। আগামী দিনে পাকিস্তান সীমান্তে অনুপ্রবেশ, জঙ্গি সমস্যার মোকাবিলা, মাদক পাচার আটকানোই সেনার মূল লক্ষ্য হতে চলেছে।