রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ নয়, সীমান্তে অপরাধ ঠেকাতেই বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধি, দাবি মন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার (central goverment) বিজ্ঞপ্তি জারি করে পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাবের (west bengal and punjab) মত কয়েকটি রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় নিযুক্ত বিএসএফ-এর (bsf)…

BSF

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার (central goverment) বিজ্ঞপ্তি জারি করে পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাবের (west bengal and punjab) মত কয়েকটি রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় নিযুক্ত বিএসএফ-এর (bsf) আওতাধীন এলাকা অনেকটাই বাড়িয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সংসদে (parliament) মোদী সরকারের কাছে বিষয়টি জানতে চান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়।

তৃণমূল সাংসদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে জানতে চান, পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গের মত রাজ্যে বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধির ব্যাপারে কেন্দ্র কি ২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তিটি সংশোধন করেছে? যদি করে থাকে তবে সরকার সে বিষয়টি সংসদে বিস্তারিত জানাক। বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কেন্দ্র কি সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করেছে? সরকার যদি রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করে থাকে সেক্ষেত্রে কি ফলাফল হয়েছে তা জানানো হোক।

সৌগতবাবু আরও জানতে চান, বিশেষজ্ঞরা কি বিএসএফের আওতা বাড়ানোর বিষয়ে কোনও সুপারিশ করেছিলেন? কারণ বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধির ফলে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে একটা সংঘর্ষের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা কখনওই কাম্য নয়। কোনও রাজ্য কি বিএসএফের আওতাধীন এলাকার পরিধি বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে? যদি করে থাকে তবে সে বিষয়টি জানানো হোক। কেন্দ্র কি রাজ্যগুলির এই উদ্বেগ ও বিরোধিতার বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে? রাজ্যগুলির দাবি মেনে কেন্দ্র কি তাদের ভুল সংশোধনের জন্য কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে?

বিএসএফ-এর আওতাধীন এলাকার সীমানা বাড়ান সংক্রান্ত এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, সরকার ২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তিটি সংশোধন করেছে। সেই সংশোধনের জেরেই বিএসএফের আওতাধীন এলাকা পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাবের মত রাজ্যে বাড়ান হয়েছে। মন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৬৮ সালের বিএসএফ অ্যাক্টের ১৩৯ (১) ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনে কেন্দ্র সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্ষমতা এবং তাদের দায়িত্ব বাড়াতে পারে।

একইসঙ্গে মন্ত্রী স্বীকার করে নেন, তাঁদের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাব। এই দুই রাজ্যে মনে করছে, বিএসএফের আওতাধীন এলাকার পরিধি বাড়ান রাজ্যের অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ। কিন্তু রাজ্যগুলির এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। বরং সীমান্ত সংলগ্ন রাজ্যগুলির সুরক্ষা বৃদ্ধির জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও অপরাধ বন্ধ করতেই এই উদ্যোগ। রাজ্যগুলির অধিকারে হস্তক্ষেপ করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।