Seram Institute: ছয় মাসের মধ্যেই শিশুদের জন্য আসবে করোনার টিকা

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনা। এরইমধ্যে করোনার (corona) নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনের (omicron) দাপট শুরু হয়েছে। করোনা রুখতে টিকাকরণই একমাত্র হাতিয়ার বলে মনে…

adar poonawalla Seram Institute

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনা। এরইমধ্যে করোনার (corona) নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনের (omicron) দাপট শুরু হয়েছে। করোনা রুখতে টিকাকরণই একমাত্র হাতিয়ার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ১৮ বছরের কম বয়সিদের জন্য দেশে কোনও টিকা তৈরি হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই যে সমস্ত মা-বাবার ১৮ বছরের কম বয়সি সন্তান আছে তাঁরা যথেষ্ট উদ্বেগের মধ্যে আছেন। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দেশের অন্যতম ও ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউটের (Seram Institute) পক্ষ থেকে জানান হল, ৬ মাসের (within six month) মধ্যেই শিশুদের জন্য বাজারে আসবে করোনার টিকা।

মঙ্গলবার কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের এক সম্মেলনে অনলাইন ব্যবস্থায় যোগ দেন সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা। ওই সম্মেলনে তিনি বলেন, তাঁদের সংস্থার তৈরি করোনার টিকা নভোভ্যাক্সের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। তিন বছর বা তার বেশি বয়সি শিশুদের উপর এই ভ্যাকসিন অত্যন্ত ভাল ফল করেছে। তিনি নিশ্চিত যে, আগামী ৬ মাসের মধ্যেই শিশুদের জন্য করোনার টিকা নভোভ্যাক্স ভারতের বাজারে এসে যাবে।

এই সম্মেলনে আদর আরও বলেছেন, করোনাজনিত কারণে শিশুদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত তেমন গুরুতর অসুস্থতা দেখা যায়নি। তাই শিশুদের জন্য এতটা উদ্বেগের কিছু নেই। কিন্তু আগামী ছয় মাসের মধ্যে দেশের বাজারে তাঁরা শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করতে পারবেন। এই মুহূর্তে শিশুদের জন্য যে ভ্যাকসিন তাঁরা তৈরি করেছেন তার চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। আশা করা যায় ছয় মাসের মধ্যে এই ভ্যাকসিন চালু হয়ে যাবে।

একইসঙ্গে আদর জানান, প্রত্যেক মা-বাবারই উচিত তাঁদের সন্তানদেরও টিকা দেওয়া। কারণ টিকা নিলে ক্ষতি কিছু হবে না। বরং করোনা প্রতিরোধ করা আরও সহজ হবে, এটা তো ইতিমধ্যেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, ভারতে এখনো পর্যন্ত শিশুদের জন্য একটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেটি হল জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি জাইকোভ-ডি। তবে এই ভ্যাকসিনটি ১২ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য প্রযোজ্য। অর্থাৎ ১২ বছরের কম বয়সিদের জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও ভ্যাকসিন নেই। সেরাম ইনস্টিটিউট ছয় মাসেরমমধ্যে শিশুদের জন্য ভ্যাকসিন চালু করলে অভিভাবকরা অনেকটাই উদ্বেগমুক্ত হতে পারবেন।