census: শীঘ্রই শুরু হবে আদমশুমারির কাজ জানাল কেন্দ্র

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: করোনাজনিত পরিস্থিতিতে (corona pandamic) নির্ধারিত সময়ে জনগণনার কাজ শুরু হয়নি। কবে থেকে জনগণনা (census) শুরু হবে? মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে এই…

census

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: করোনাজনিত পরিস্থিতিতে (corona pandamic) নির্ধারিত সময়ে জনগণনার কাজ শুরু হয়নি। কবে থেকে জনগণনা (census) শুরু হবে? মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান তৃণমূল কংগ্রেস (trinamul congress) সাংসদ মালা রায় (mala roy)।

একই সঙ্গে মালা রায় জানতে চান, জনগণনার কাজ যাতে দ্রুত এগোতে পারে সে জন্য বিভিন্ন রাজ্যে জনগণনা আধিকারিকদের যে সমস্ত পদ শূন্য রয়েছে সেগুলি কি পূরণ করা হয়েছে? জনগণনা শেষ করার জন্য সরকার কি কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করেছে? জনগণনা শুরু করার জন্য কেন্দ্র কি ইতিমধ্যেই সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে?

   

মালার এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, সরকার জনগণনা শুরু করার ব্যাপারে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ব্যাপারে সরকার ২০১৯ সালের ২৮ শে মার্চ বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে জনগণনা আধিকারিক পদে ইতিমধ্যেই ৩৭২ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। করোনাজনিত কারণে ২০২১ সালে নির্ধারিত সময়ে জনগণনার কাজ শুরু করা যায়নি। তবে খুব শীঘ্রই আদমসুমারির কাজ শুরু হবে।

অন্যদিকে মালা রায় এদিন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্পে বিভিন্ন রাজ্য কেন্দ্রের কাছ থেকে কি পরিমাণ টাকা পাবে। এই প্রকল্পে যে সমস্ত শ্রমিক কাজ করেন, তাঁদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে কি ভাবছে সরকার। মহারাষ্ট্র বা অন্য কোন রাজ্যের পক্ষ থেকে কি এই প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য আবেদন জানানো হয়েছে?

মালা রায়ের এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি বলেন, এই প্রকল্পে অর্থের কোন অভাব হবে না। বিভিন্ন রাজ্যগুলির চাহিদামত অর্থ সরবরাহ করার সব ব্যবস্থাই করে রেখেছে কেন্দ্র। সাধারণত এই প্রকল্পে কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে সেটা নির্ভর করে কর্মপ্রার্থীদের দাবির উপর। অর্থাৎ কতজন কর্মপ্রার্থী এই প্রকল্পে কাজ করতে চেয়েছেন তার ওপরে রাজ্যের প্রাপ্য বরাদ্দ অর্থ নির্ভর করে। একইসঙ্গে মন্ত্রী পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়ে দেন, চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রকল্পে কোন কোন রাজ্যের কত টাকা পাওনা রয়েছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন মহাত্মা গান্ধী জাতীয় কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের পাওনা রয়েছে ১৩৭৭৭৬.৮৭ লাখ টাকা। একইসঙ্গে মন্ত্রী জানান মহারাষ্ট্র বা অন্য কোনও রাজ্য এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পে নিযুক্ত শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবি জানায়নি। কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্সের উপর ভিত্তি করে প্রতিবছর এই প্রকল্পে শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত মজুরি ১ এপ্রিল থেকে চালু হয়।