কোটা আন্দোলনে উত্তাল তেলেঙ্গানা, বনধে থমকে গেল রাজ্য!

হায়দরাবাদ: ‘অনগ্রসর শ্রেণীর’ (Backward Classes) সংরক্ষণের দাবীতে ধুন্ধুমার তেলেঙ্গানায় (Telengana)। শনিবার অনগ্রসর শ্রেণীর যৌথ কর্ম কমিটি (BC JAC)-র ডাকা বনধকে স্বাগত জানায় শাসক কংগ্রেস সহ, বিআরএস-বিজেপি।

Advertisements

বিক্ষোভ চলাকালীন হায়দরাবাদের একটি পেট্রোল পাম্পে ভাঙচুর চালায় এবং আশেপাশের দোকানগুলিতে হামলা চালায় কয়েকজন ‘অনগ্রসর শ্রেণী’ সংগঠনের কর্মী। রাজধানী সহ রাজ্যের বিভিন্ন শহরে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন শাসক-বিরোধী উভয় দলের নেতা-মন্ত্রীরা। বিক্ষোভের জেরে স্তব্ধ হয়ে পরে যানচলচল, রাস্তাঘাটও থমথমে।

জানা গিয়েছে, এদিন ডিপো থেকেও বেরোয়নি তেলেঙ্গানা (Telengana) রাজ্য সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (RTC)-এর বাস। দীপাবলির বাজারে ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়েন সাধারণ মানুষ। বনধ, বিক্ষোভের জেরে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বেশিরভাগই এদিন বন্ধ করে দেওয়া হয়। কেবলমাত্র জরুরি ও প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি ছাড়া বাকি সব প্রতিষ্ঠানকে বিসি সংরক্ষণ পুনরুদ্ধারের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে বন্ধে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

তেলেঙ্গানা হাই কোর্টের অন্তর্বর্তী রায়ের পরেই শুরু হয় প্রতিবাদ

Advertisements

প্রসঙ্গত, লোকাল বডি নির্বাচনে ৪২% সংরক্ষণের জন্য সরকারের আদেশে স্থগিতাদেশ দেয় তেলেঙ্গানা (Telengana) হাইকোর্ট। গত ৯ অক্টোবর কোর্টের এই অন্তর্বর্তীকালীন রায়ের পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে ‘অনগ্রসর শ্রেণী’ (Backward Classes) সংগঠনের কর্মীরা। সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ বাতিল করে এই নির্দেশের ফলে বিসি সংগঠন তাদের রাজনৈতিক মিত্রদের সাহায্যে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়।

কংগ্রেস, বিআরএস এবং বিজেপির নেতারা বিসি (Backward Classes) সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আরটিসি বাস ডিপোর বাইরে ধর্নায় নেতৃত্ব বসেন। যানবাহন চলাচলে বাধা দেন। মন্ত্রী এবং দলীয় কর্মীরা উভয়ই হায়দ্রাবাদ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে বিক্ষোভে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

পুন্নম প্রভাকর, ভাকিতি শ্রীহরি, সীতাক্কা, কোন্ডা সুরেখার মত কংগ্রেস নেতা এবং সাংসদ অনিল যাদব হায়দ্রাবাদে বিক্ষোভে যোগ দেন। অন্যদিকে মন্ত্রী তুম্মলা নাগেশ্বর রাও সাত্তুপল্লিতে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। বিরোধীদের মধ্যে, বিআরএস নেতারা এবং প্রাক্তন মন্ত্রীরা ৪২% কোটার দাবির পক্ষে স্লোগান দিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। বিজেপির এতলা রাজেন্দ্র জুবিলি বাস ডিপোতে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন।