পাটনা: বিতর্কিত ওয়াকফ অ্যাক্ট ইস্যুকে অস্ত্র করে নির্বাচনী প্রচারের ময়দানে নামলেন আরজেডি নেতা তথা বিহারের ইন্ডিয়া জোটের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ তেজস্বী যাদব (Tejaswi Yadav)। রবিবার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কাটিহার এবং কিষানগঞ্জের জনসভায় বিরাট প্রতিশ্রুতি দিলেন লালু-পুত্র।
তেজস্বী বললেন, “মহাগাঁঠন্ধন ক্ষমতায় এলে ওয়াকফ আইনকে (Waqf Act) ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হবে!” তেজস্বী আরও বলেন, তাঁর বাবা, আরজেডি (RJD) প্রধান লালু প্রসাদ কখনও দেশের সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে আপস করেননি। “কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন এবং RSS ও তার সহযোগী দলগুলোর সঙ্গে বিহারের পাশাপাশি দেশে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়াচ্ছে। বিজেপিকে ‘ভারত জালাও পার্টি’ বলা উচিত।”
আরজেডি MLC-র ইঙ্গিতের পরেই ঘোষণা করলেন তেজস্বী
প্রসঙ্গত, শনিবারেই আরজেডি MLC মহম্মদ কারী শোহেবের ওয়াকফ আইন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে রাজনৈতিক ঝড় ওঠে। তিনি বলেছিলেন, তেজস্বী বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হলে “ওয়াকফ বিল (Waqf Bill) ছিঁড়ে ফেলা হবে”। তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কটাক্ষ ওঠে, একজন মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে কেন্দ্রীয় বিল পরিবর্তন করতে পারবেন?
সংবিধান এবং গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই
এদিনের সমাবেশে তেজস্বী বলেন, “এই নির্বাচন সংবিধান, গণতন্ত্র এবং ভ্রাতৃত্ব রক্ষার লড়াই। মানুষ ২০ বছর ধরে নীতীশ কুমারের উপর বিরক্ত। সরকারের প্রতিটি বিভাগে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে।” তাঁর অভিযোগ, মোদী-নীতিশের ডবল ইঞ্জিন সরকার হওয়া সত্ত্বেও বিহার বর্তমানে দেশের সবচেয়ে দরিদ্র এবং পিছিয়ে পড়া রাজ্য।
সীমাঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি
তেজস্বী যাদব বলেন, যদি ইন্ডিয়া ব্লক (INDIA Block) সরকার গঠন করে, তাহলে সীমাঞ্চল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর আওতায় এই অঞ্চলে একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শাখা স্থাপন করা হবে।


