কেন্দ্রের তিন জামাই ইডি-আইটি-সিবিআই, তেজস্বী বচনে সরগরম বিহার

রাজ্যে সিবিআই হানার মাঝেই আস্থাভোটে জয়ী হয়েছে আরজেডি-জেডিইউ-র জোট সরকার। এদিন বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করল নীতীশ কুমার ও তেজস্বী যাদবের সরকার। যদিও বিজেপি বিধায়করা…

রাজ্যে সিবিআই হানার মাঝেই আস্থাভোটে জয়ী হয়েছে আরজেডি-জেডিইউ-র জোট সরকার। এদিন বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করল নীতীশ কুমার ও তেজস্বী যাদবের সরকার। যদিও বিজেপি বিধায়করা ফ্লোর টেস্ট বয়কট করেন, যার জেরে বিধানসভায় তুমুল হট্টগোল শুরু হয়। এরই মাঝে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নজিরবিহীন ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব।

তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল যে রাজ্যগুলিতে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে এগিয়ে রাখে যেখানে তাদের প্রান্ত নেই। সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই), এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এবং আয়কর বিভাগকে (আইটি) কেন্দ্রের শাসক দলের তিনটি “জামাই”। গেরুয়া দল যখন হারতে শুরু করে বা হেরে যাওয়ার ভয় পায় তখন প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করে।

   

আস্থা ভোটে জয়ী হয়েছে বিহারের নীতীশ কুমারের মহাজোট সরকার। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও ভোট দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল শাসক দল। যেখানে বিজেপি বলছে, ধ্বনি ভোটে যখন আস্থা প্রস্তাব পাশ হয়েছে, তখন ভোটাভুটির কী দরকার। কিন্তু ভোট হয়েছে, বিজেপি ভোট বয়কট করেছে। ভোটাভুটিতে নীতীশের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৬০টি। এদিন ভাষণের শুরু থেকেই বিজেপিকে আক্রমণ করতে থাকেন নীতীশ। তিনি বলেন, বিজেপি প্রথমে বলেছিল, নন্দ কিশোর যাদবকে বিধানসভার স্পিকার করা হবে। কিন্তু তারপর বিজয় সিনহাকে এই পদ দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘২০২০ সালে আমরা বলেছিলাম, আপনি (বিজেপি) যদি বেশি আসন পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনারই মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত। কিন্তু আমাকে এটা দেখাশোনা করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল।