পাটনা: কেরল কংগ্রেসের করা টুইট নিয়ে দিনভর বিতর্কের পর অবশেষে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন আরজেডি (RJD) নেতা তেজস্বী যাদব (Tejaswi Yadav)। গতকাল রাতে এক্স-এ কেরল কংগ্রেস পোস্ট করে, বিহার এবং বিড়ি, দুটোই শুরু হয় ইংরেজি অক্ষর “বি” দিয়ে। মূলত কেন্দ্র সরকারের জিএসটি (GST) সংস্কারকে খোঁচা মেরে কেরল সরকারের করা পোস্টটি কিছুক্ষণ পর ডিলিট করা হয়। তবে পোস্ট মুছে দিলেও শুক্রবার সকাল থেকেই ময়দানে নেমে পড়ে বিজেপি।
কংগ্রেসের সঙ্গে মহাগাঁঠবন্ধনে থাকা আরজেডি নেতা বিহারের ‘অপমানে’ কি জবাব দেবেন বলে তোপ দাগে বিজেপির (BJP) একাধিক নেতামন্ত্রী। অবশেষে সন্ধ্যেবেলায় “সমর্থন করি না” বলে সাফ জানিয়ে দিলেন বিহারের আসন্ন নির্বাচনে ইন্ডি জোটের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ তেজস্বী। আরজেডি নেতা বলেন, “আমি এবং আমার দল এই ঘটনাকে সমর্থন করি না”।
বস্তুত, সিগারেট সহ অন্যান্য তামাক জাতীয় দ্রব্যে সংস্কারের পর নতুন জিএসটির হার বাড়িয়ে ৪০% করা হলেও, বিড়ির ক্ষেত্রে ২৮% থেকে কমিয়ে তা ১৮% করা নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা মেরে পোস্ট করে কেরল কংগ্রেস (Congress)। ভারতের বিড়ি উৎপাদনের অন্যতম বড় ক্ষেত্র বিহার। দেশের প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ এই বিড়ি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। কেন্দ্র সরকার ভোটের আগে তাই বিড়ির উপর থেকে জিএসটি কমিয়ে বিহারের মানুষকে ‘খুশি’ করতে চাইছে ইঙ্গিত করে পোস্টটি করে কংগ্রেস।
পরে পোস্টটি মুছে বিড়ি-সিগারেটের রেট-এর একটি ছবি পোস্ট করে তার সঙ্গে লেখা হয়, “মনে হচ্ছে ভোটের আগে মোদীর নির্বাচনী প্রচারের বিরুদ্ধে আমাদের কটাক্ষকে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে! যদি আপনাদের খারাপ লেগে থাকে, তাহলে আমরা দুঃখিত”। বিষয়টি নিয়ে বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা রাশিদ আলভীকে জিজ্ঞেস করা হলে কেরালা কংগ্রেসের পোস্টটিকে সমর্থন করেন তিনি।
তাঁর সাফ বক্তব্য, “বিহার-নির্বাচনকে মাথায় রেখেই বিজেপি কর ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছে”। অন্যদিকে, বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সম্রাট চৌধুরী কংগ্রেসের এই পোস্টকে “বিহারের অপমান” বলে উল্লেখ করেন। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, “কংগ্রেস শুধুমাত্র বিহারের মানুষকেই অপমান করেনি বরং দেশের ইতিহাস এবং গণতন্ত্রেরও ঠাট্টা করেছে”।