হুড়মুড় করে ধস সিকিমে, তছনছ তিস্তা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র

ফের ভয়ঙ্কর বিপর্যয় সিকিমে। ধসের জেরে গুঁড়িয়ে গেল তিস্তা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের একাংশ। সিকিমের বালুতারে অবস্থিত ন্যাশনাল হাইড্রোইলেক্টরিক পাওয়ার কর্পোরেশন (NHPC)-এর তিস্তা স্টেজ-৫ বাঁধটি গুঁড়িয়ে গিয়েছে।…

ফের ভয়ঙ্কর বিপর্যয় সিকিমে। ধসের জেরে গুঁড়িয়ে গেল তিস্তা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের একাংশ। সিকিমের বালুতারে অবস্থিত ন্যাশনাল হাইড্রোইলেক্টরিক পাওয়ার কর্পোরেশন (NHPC)-এর তিস্তা স্টেজ-৫ বাঁধটি গুঁড়িয়ে গিয়েছে। ধ্বংসের সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেছেন স্থানীয়রা, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

গত কয়েক দিন ধরেই লাগাতার ধস নামছে সিকিমের ওই অঞ্চলে। স্বাভাবিকভাবেই ৫১০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দীপু দারা কেন্দ্রটিকে নিয়ে আশঙ্কা ঘনিয়েছিল। খালি করে দেওয়া হয়েছিল এলাকা। মঙ্গলবার সকালে ৭টা নাগাদ ধস নামে। ভেঙে পড়ে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন পাহাড়ের একটি অংশ। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ পাহাড়ের একটি অংশ খসে পড়ে। ওই পাহাড়ের নীচ দিয়েই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুড়ঙ্গ গড়ে তোলা হয়েছিল। এই ঘটনায় ১৭ থেকে ১৮টি বাডি়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে বিপর্যেয়র পর হতাহতের কোনও খবরনেই।

জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কাছে যে সমস্ত মানুষ কাজ করছিলেন, ধসের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেছেন তাঁরা। ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, পাহাড়ের সামনের অংশ আচমকাই কেঁপে উঠল। এর পর গাছ-গাছালি সমেত খসে পড়ল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উপর। ধুলোয় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। সেই দৃশ্য দেখে চিৎকার করে ওঠেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা।

Advertisements

শরিক-বিরোধীদের চাপে পিছু হটল মোদী সরকার! বাতিল ল্যাটারাল এন্ট্রির নির্দেশিকা

গত বছর অক্টোবর মাসে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে কার্যত ভেসে গিয়েছিল সিকিম। হড়পা বানে ভয়ঙ্কর ক্ষয়ক্ষতি হয়। চুংথাংয়ে সিকিমের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধের অংশ ভেসে যায় জলের তোড়ে। সেই থেকেই তিস্তা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ওই স্টেজ-৫ বাঁধটি অকার্যকর ছিল। সেই পরিস্থিতিতেই এই বিপর্যয়ে আরও তছনছ অবস্থা বল। দিশাহারা স্থানীয়রা।