কলকাতা: তসলিমা নাসরিন, তিনি যেমন জনপ্রিয় সাহিত্যিক ঠিক তেমনই সাহসী এবং বিতর্কিত চরিত্র (Taslima Nasreen)। বার বার বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য তাকে উৎখাত করা হয় বাংলাদেশ থেকে। মেয়েদের বক্ষযুগল দেখান নিয়ে আবার সাহসী মন্তব্য করে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন তিনি। তসলিমার মতে “পুরুষের ব্রেস্ট যদি মেয়েদের ব্রেস্টের মতো বড় হতো, তারা কি ওড়না পরতো? আমি নিশ্চিত তারা পরতো না।
বরং ব্রেস্ট দেখিয়ে বেড়াতো। ঠিক যেমন মাসল দেখিয়ে বেড়ায়।” মেয়েদের ব্রেস্ট পুরুষের ব্রেস্টের চেয়ে দেখতে ভাল , সে কারণে মেয়েরা যে ব্রেস্ট দেখিয়ে বেড়াবে, তার সুযোগ নেই। কারণ পুরুষেরা মেয়েদের ব্রেস্ট ঢাকতে ব্যস্ত। তসলিমা তার বক্তব্যে স্পষ্ট করে বলেছেন বক্ষযুগল মেয়েদের হলেও তাতে অধিকার পুরুষের এবং সেই বক্ষযুগলের উপর ফতোয়া জারি করাও পুরুষদের অধিকারের মধ্যে পড়ে।
অপারেশন ব্লু স্টারকে ভুল বললেন চিদাম্বরম, কংগ্রেস-বিজেপির মধ্যে নয়া সংঘর্ষ
তসলিমা পুরুষদের নিশানা করে আরও বলেছেন জামা দিয়ে ঢাকলেও পুরুষরা খুশি হয় না ওড়না দিয়ে ঢাকতে হয়। মৌলবাদীদের নিশানা করে তসলিমা বলেছেন ওড়নাতেও তারা খুশি হয় না, তাই বোরখা দিয়ে বক্ষযুগল ঢাকার নিয়ম সৃষ্টি করেছে তারা। তিনি তার পোস্টে স্পষ্ট ভাষায় লিখেছেন পুরুষরা মহিলাদের মত বক্ষযুগল পাইনি বলে মানসিক যন্ত্রনা এবং হীনমন্যতায় ভোগে তাই মেয়েদের জন্য এত নিয়ম।
শুধু তাই নয় তসলিমা তার সহজাত সাহসী মন্তব্যে সরাসরি পুরুষদের নিশানা করে বলেছেন “জরায়ু মেয়েদের, জরায়ু নিয়ে নিয়ম নীতি আইন কানুন পুরুষদের। যৌনাঙ্গ মেয়েদের, যৌনাঙ্গ নিয়ে নিয়ম নীতি আইন কানুন পুরুষদের। অথচ তাদের শরীরের কিছু নিয়ে আমরা কোনও নিয়ম কানুন তৈরি করেনি। যদি করি, তারা কি মানবে আমাদের নিয়ম কানুন? মানবে না।
সুতরাং মেয়েদের ভ্রক্ষেপ করা উচিত নয় মেয়েদের শরীর নিয়ে, মেয়েদের কাপড় চোপড় নিয়ে পুরুষের কোনও আদেশ উপদেশ।” সামাজিক মাধ্যমে তসলিমার এই সাহসী মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে মহিলা মহল তার মন্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন তসলিমা সমস্ত মেয়েদের মনের কথা বলেছেন। তার বক্তব্যে সহমত পোষণ করে তারা বলেছে যে তসলিমার সাহসী মন্তব্য অনেক মহিলার অনুপ্রেরণা হতে পারে এবং তারা পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে মাথা তুলে সাহসী হতে শিখবে।