নয়াদিল্লি: টাঙ্গাইলের শাড়ি (Tangail Saree) কার এই নিয়ে দুই বাংলার দরকষাকষি শুরু হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এই শাড়ি জিআই তকমা পাওয়ার জন্য জেনিভায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড ইন্টিলেকচুয়াল প্রপার্টি অরগানাইজেশন কাছে আবেদন করেছিল ভারত। ওই আবেদনের ফলে সম্প্রতি স্বত্ত্বাধিকার পেয়েছে ভারত। কিন্তু বাংলাদেশ দাবী করেছে ভারত নয় টাঙ্গাইল শাড়ির প্রকৃত দাবিদার তারা। কেন না বাংলাদেশে রয়েছে টাঙ্গাইলের ভৌগোলিক অবস্থান ।
শুধু তাই নয় দেরিতে হলেও এবার বেশ কোমর বেঁধে টাঙ্গাইলের অধিকার নিতে নেমে পড়েছে ঢাকা। সেজন্য ভারতকে দেওয়া ওই জিআই তকমার বিরোধিতা করে পাল্টা আবেদন করেছে।
তবে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিয়ম অনুসারে এক বা একাধিক দেশ একই স্বত্ত্ব অধিকারী হতে পারে যদি তারা উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ জমা দিয়ে আবেদন করে। এমনকি আগে কোনও দেশ স্বত্ত্বাধিকার পাওয়ার পরে আরেকটি দেশ সেই একই জিআই তকমা পাওয়ার জন্য আবেদন করতেই পারে।
প্রসঙ্গত গত মাসে টাঙ্গাইল শাড়িকে এপার বাংলার ভৌগোলিক নিদর্শক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ভারতের শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রক অধীনে থাকা পেটেন্ট ডিজাইন এন্ড ট্রেডমার্ক বিভাগের তরফ থেকে সে কথা ঘোষণা করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের শাড়ির পাশাপাশি সুন্দরবনের মধু পশ্চিমবঙ্গের নিজস্ব পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হস্তশিল্প বিভাগ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আবেদন করেছিল যার ভিত্তিতে এই স্বত্ত্বাধিকার পেয়েছে। টাঙ্গাইল শাড়িকে এপার বাংলা নদিয়া এবং পূর্ব বর্ধমানের পণ্য হিসেবে দেখা হয়েছে।
এদিকে আবার বাংলার ঝুলিতে টাঙ্গাইল এসেছে সেই খবর জানাজানি হওয়ার পর থেকেই ওপার বাংলা রীতিমতো ক্ষুব্ধ হতে দেখা গিয়েছে। টাঙ্গাইল তাদের এই দাবিতে মানববন্ধন করতেও দেখা গেছে বাংলাদেশে। বর্তমানে রাজশাহী সিল্ক নাটোরের কাঁচাগোল্লা সহ বাংলাদেশের মোট জিআই পণ্যের সংখ্যা হল ১৭।