১০ জানুয়ারি থেকে উত্তরপ্রদেশে শুরু হচ্ছে বিধানসভা ভোট। এদিকে যত সময় এগোচ্ছে নির্বাচনী পারদ চড়ছে রাজ্যে। সেইসঙ্গে জমে উঠেছে দলবদলের খেলা। বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে শোষণের রাজনীতির অভিযোগ সহ একাধিক কারণ দেখিয়ে দলের ক্যাবিনেট মন্ত্রী ও দল থেকে ইস্তফা দেন স্বামী প্রসাদ মোর্য। সমাজবাদী পার্টির দলভারী করে ফিরে মৌর্য ফিরে গিয়েছেন নিজের পুরনো দলে।
এদিকে প্রাক্তন এই ক্যাবিনেট মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ৮ বছর পুরনো মামলা নিয়ে পাটনা হাইকোর্ট স্বামীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। আর এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। বিশিষ্ট মহলের মতে, দলবদল করতেই পুরনো মামলার প্রসঙ্গ টেনে স্বামীকে বিপাকে ফেলতে চাইছে গেরুয়া শিবির। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি তিনি জানান, ‘৮ বছরের পুরনো একটি মামলায় আমার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এটা আমার পদত্যাগের মাত্র দ্বিতীয় দিন। যদি আমার বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলাও দায়ের করা হয়, আমার মনোবল দুর্বল হবে না। তারা আমাকে যত কষ্ট দেবে, আমি তাদের আরও দৃঢ়ভাবে পরাজিত করব।’
উল্লেখ্য, মৌর্যকে বুধবার ‘হেট স্পিচ’ মামলায় আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছিল কিন্তু তিনি উপস্থিত হননি। ধর্মীয় ঘৃণা উস্কে দেওয়ার মামলায় তাকে এখন ২৪ জানুয়ারি আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। ২০১৪ সালে করা একটি বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে গ্রেফতার হতে পারেন মৌর্য। সেইসময়ে তিনি মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টিতে ছিলেন। সেইসময় মৌর্য বলেন, “দেবী গৌরী বা ভগবান গণেশের বিয়ের সময় পূজা করা উচিত নয়। দলিত ও অনগ্রসর জাতিকে বিভ্রান্ত ও দাস ত্বরান্বিত করার জন্য এটি উচ্চবর্ণের অধ্যুষিত ব্যবস্থার ষড়যন্ত্র।”