Tripura: মৃত ব‍্যক্তি জায়গা বিক্রি করেছেন! সরকারি অফিস দিয়েছে সিলমোহর

মৃত ব্যক্তি তাঁর জমি বিক্রি করেছেন। সেই জমি সরকারি নিয়ম মেনে ক্রেতার নামে নথিভুক্ত করা হয়েছে। লেগেছে সিলমোহর! সব দেখে শুনে রীতিমত হতবাক মৃতের আত্মীয়রা। তাদের প্রশ্ন এমনও হয়? অথচ সরকারি হিসেবে তাই হয়েছে। ২৩ বছর আগে যিনি মারা গেছেন তাঁর নামের জমি সইসাবুদ করে বিক্রি হয়ে গেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা।

Surprise event in Tripura dead person sold his land! The government office gave the seal

মৃত ব্যক্তি তাঁর জমি বিক্রি করেছেন। সেই জমি সরকারি নিয়ম মেনে ক্রেতার নামে নথিভুক্ত করা হয়েছে। লেগেছে সিলমোহর! সব দেখে শুনে রীতিমত হতবাক মৃতের আত্মীয়রা। তাদের প্রশ্ন এমনও হয়? অথচ সরকারি হিসেবে তাই হয়েছে। ২৩ বছর আগে যিনি মারা গেছেন তাঁর নামের জমি সইসাবুদ করে বিক্রি হয়ে গেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা।

বিজেপি আমলে জমি বিক্রি কেলেঙ্কারির একটি অভিযোগ ঘিরে ত্রিপুরা সরগরম। জাল দলিল কী করে সরকারি দফতরে উতরে গেল তা নিয়ে হই হই পড়েছে। রীতিমতো বিব্রত সোনামুড়া মহকুমা শাসক। তাঁর অফিস থেকেই এমন দলিল নথিভুক্ত হয়েছে

সোনামুড়া মহকুমা শাসক কার্যালয়ের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। মৃত আলি হোসেন মোল্লার জমির নথি ওই ব্যক্তির মৃত্যুর ২৩ বছর পর অন্যের নামে হয়ে গেল। এই জমি হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কোনও বিচার পাচ্ছেন না আলি হোসেনের আত্মীয়রা।

সোনামুড়া রাঙামাটিয়া এলাকার আলি হোসেন মোল্লা ১৯৮৮ সালে মারা যান। রাঙামাটিয়া ভোলামুড়া এলাকায় তার জমি টিলা ভূমি রয়েছে। আলি হোসেনের পরিবার দীর্ঘ বছর ধর তাদের পৈতৃক সম্পত্তি ভোগ করছে। ২০২০ সালে মৃত আলি হোসেনের নাতি দিদারুল আলম পারিবারিক সম্পত্তির নথিপত্র খতিয়ে দেখতে পায় তাদের জমির মালিক অনিল চন্দ্র দাস নামে এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি ২০২০ সালে তার নিজের নামে জায়গার পরচা তৈরি করেছেন। এতে বলা হয়েছে ২০১১ সালে আলি হোসেন মোল্লা নাকি জায়গা বিক্রি করেছেন। অথচ আলি হোসেন মোল্লা ১৯৮৮ সালে মারা গেছেন।

জমির কাগজপত্র দেখে চমকে যান মৃত আলি হোসেনের আত্মীয়রা। যে ব্যক্তি ২৩ বছর আগে মারা গেছেন তার নামের জমি কী করে ২০২০ সালে নতুন পরচা হয় এমন প্রশ্ন উঠেছে। মৃত আলি হোসেন মোল্লার তিন ছেলে সহ গোটা পরিবারের অভিযোগ সোনামুড়া মহকুমা শাসক এবং ডিসি অফিসে টাকার বিনিময়ে এই জমি জালিয়াতির কাজ করা হয়েছে। আরও অভিযোগ মৃতের পরিবার জমির নিজস্ব কাগজপত্র দেখালেও ডিসি অফিস কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। জেলা শাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা।

মহকুমা শাসক বিব্রত। আর মৃতের পরিবার বলছে, তিনি কি এই ভুল শোধরাবেন?