মেডিক্যালে প্রবেশিকার নিট পরীক্ষা পরিচালনাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে সাতটি আবেদন জমা পড়ে। শুক্রবার সেইসব আবেদনের উপরই শুনানি হয় শীর্ষ আদালতে। এইসব আবেদনগুলিতে নিট-এর প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে। এই মামলাতেই এবার কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত ‘ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি’কে নোটিস জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। সঙ্গে সিবিআই-কেও নোটিস পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এই মামলা সংক্রান্ত মুলতুবি থাকা আবেদনগুলির সঙ্গেই এ দিনের মামলাগুলির শুনানি হবে আগামী ৮ জুলাই। এছাড়া, নিট প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত একটি মামলা দিল্লি হাইকোর্টে মলতুবি রয়েছে। সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরিত করার আবেদন জানিয়েছে ‘ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি’ বা নএনটিএ। সেই আবেদনের শুনানিও ৮ জুলাই হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
ইতালি পৌঁছে বিরাট বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা (২০২৪) বাতিলের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। মামলাকারীরা অভিযোগ করেন যে, এবার নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে। অন্যান্য অনিয়মও হয়েছে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হয় শীর্ষ আদালতের বিচারপতি নাথ এবং বিচারপতি আমানুল্লার অবকাশকালীন বেঞ্চে।
এই আবহে নিটের আয়োজক সংস্থা ‘ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি’র থেকে জবাব চেয়েছিল শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লার অবকাশকালীন বেঞ্চ। গ্রেস মার্কসের বিষয়ে এনটিএ-য়ের তরফে দাবি করা হয়, দেশজুড়ে ২৪ লাখ নিট প্রার্থীর ভেতর মাত্র ১,৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়।
রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রে ‘হেরো মুকুটেই’ ভরসা রাখল তৃণমূল
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা একটি পিটিশনে দাবি করা হয়েছিল যে, পটনায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। আর রাজস্থানের প্রার্থীদের ভুল প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। যদিও ইতিমধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে এনটিএ। সেখানেই অবশ্য বিতর্কে ইতি পড়েনি। এবার ৬৭ জন প্রথম স্থানাধিকারী হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষত হরিয়ানার একটি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ছ’জন প্রথম হওয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে।
সেইসঙ্গে গ্রেস মার্কস দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ দিকে বহু পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কারণ অনেকেই ৭১৯ বা ৭১৮ নম্বর পেয়েছিলেন। যা নিট পরীক্ষার মার্কিং নিয়মে তা সম্ভব নয়। নিট পরীক্ষায় ৭২০ নম্বরের পরে প্রাপ্ত নম্বর ৭১৬ নম্বর বা ৭১৫ নম্বর হতে পারে। যদিও সেই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হওয়ায় গ্রেস নম্বর ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানায় কেন্দ্রীয় সরকার।