আহমেদাবাদে Air India-দুর্ঘটনার ‘দায়’ নিয়ে বড় বয়ান সুপ্রিম কোর্টের

নয়াদিল্লি: ১২ জুন আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার (AIR India) ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য পাইলটদের ত্রুটির দিকে ইঙ্গিত দুর্ভাগ্যজনক! সোমবার এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি কেন্দ্র এবং কেন্দ্রীয়…

নয়াদিল্লি: ১২ জুন আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার (AIR India) ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য পাইলটদের ত্রুটির দিকে ইঙ্গিত দুর্ভাগ্যজনক! সোমবার এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি কেন্দ্র এবং কেন্দ্রীয় সরকার এবং ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA)-এর মতামত জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এদিন বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এনকে সিংহের বেঞ্চ “অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং দ্রুত” তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন উড়ানের ২ মিনিটের মাথায় আহমেদাবাদের মেডিক্যাল কলেজের ছাদে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার ১৭১ বিমানটি। ঘটনায় প্রাণ হারান ২৬০ জন। এই নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে সুপ্রিপ কোর্ট (Supreme Court)। সপ্তাহের প্রথম দিন সেই মামলার শুনানিতে এর আগে ডিজিসিএ-এর প্রকাশিত প্রাথমিক তদন্তের ‘অসম্পূর্ণ’ রিপোর্টের পর যে পাইলটদের দিকে দুর্ঘটনার অভিযোগের তীর যাচ্ছে, এই ঘটনা “দুর্ভাগ্যজনক” বলে উল্লেখ করে মহামান্য সর্বোচ্চ আদালত।

   

শুনানির সময়, মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ যুক্তি দেন যে দুর্ঘটনার ১০২ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত “কী ঘটেছে, কেন ঘটেছে এবং কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত সে সম্পর্কে কোনও স্পষ্টতা নেই”। যার ফলে এখনও যাত্রীরা ঝুঁকি মাথায় করেই এয়ার ইন্ডিয়া এবং বোয়িং-এর বিমানে চড়ছেন।

এরপর ভূষণ বলেন, প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট পাইলটদের গাফিলতির দিকে ইঙ্গিত করছে, তখন বেঞ্চের তরফ থেকে এই ঘটনার নিন্দা করে বলা হয়, “পাইলটরা আর নেই। কিন্তু তাঁদের পরিবার আছে। তাঁদের সম্মান এবং গোপনীয়তা রক্ষা করা একান্ত জরুরী”। ওই রিপোর্ট আসল ঘটনাকে বিকৃত করছে বলেও উল্লেখ করে আদালত। ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়, “নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া জরুরী তবে তা যেন সম্পূর্ণ ঘটনাটিকে তুলে ধরে, তার কোনও একটি অংশকে নয়”।

Advertisements

DGCA দ্বারা প্রকাশিত রিপোর্টে কি বলা হয়েছিল?

১২ জুন দুর্ঘটনার ঠিক এক মাসের মাথায় মধ্যরাতে এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েন। আর তার পর থেকেই শুরু হয় নানান রকম জল্পনা, বিতর্ক। ওই রিপোর্টে ককপিট রেকর্ডারের তথ্য দেওয়া হয়। যা অসম্পূর্ণ বলে দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা।

উড়ানের পর থ্রাস্ট পাওয়া যাচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন কোনও একজন পাইলট। পাশাপাশি, জ্বালানি সুইচ বন্ধ নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়। কেননা, রিপোর্টে শুধু উল্লেখ করা হয়, “সুইচ বন্ধ করলে কেন?” যার উত্তর আসে, “আমি করিনি”। এখানে কোনও একজন পাইলটের দ্বারা জ্বালানি সুইচ বন্ধ হয়ে গেছিল নাকি বোয়িং ৭৮৭-এর সুইচ এই কোনও সমস্যা ছিল সেই নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। তবে একপক্ষ পাইলটদের ত্রুটির দিকেই আঙ্গুল তোলে।

আমাদের Google News এ ফলো করুন

২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।

Google News Follow on Google News