পুলিশ হেফাজতে বন্দির মৃত্যু, থানায় অকেজো সিসিটিভি! স্বতঃপ্রণোদিত মামলা সুপ্রিম কোর্টের

Supreme Court

Supreme Court: দেশজুড়ে থানাগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরার অভাবের কথা সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদনে প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বিষয়টি আমলে নেয়। বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং সন্দীপ মেহতার একটি বেঞ্চ বিষয়টি আমলে নেয়। তিনি বলেন, ২০২৫ সালে, গত ৭-৮ মাসে শুধুমাত্র রাজস্থানে পুলিশ হেফাজতে ১১টি মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এই কারণে, শীর্ষ আদালত এই বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে বিবেচনা করেছে।

Advertisements

Supreme Court: ২০২০ সালের সুপ্রিম কোর্টের আদেশ
এর আগে, ২০২০ সালে এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে, সুপ্রিম কোর্ট দেশের সকল থানায় নাইট ভিশন এবং অডিও রেকর্ডিং সুবিধাসহ সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিল। এই সিদ্ধান্তে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সরকারগুলিকে পুলিশ চত্বরের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, যেমন লক-আপ এবং জিজ্ঞাসাবাদ কক্ষে কার্যকরী সিসিটিভি কভারেজ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত আরও বলেছিল যে ফুটেজটি কমপক্ষে ১৮ মাস সংরক্ষণ করা উচিত এবং হেফাজতে সহিংসতা বা মৃত্যুর সাথে সম্পর্কিত তদন্তের সময় উপলব্ধ করা উচিত।

Supreme Court: নির্দেশ সত্ত্বেও অমান্য
এই স্পষ্ট নির্দেশাবলী সত্ত্বেও, অনেক থানায় এখনও কার্যকর সিসিটিভি ক্যামেরা নেই, অথবা ফুটেজ অদৃশ্য হয়ে যায়। এটি প্রায়শই তদন্তকে বাধাগ্রস্ত করে এবং জবাবদিহিতাকে বাধাগ্রস্ত করে। পুলিশ বিভাগগুলি প্রায়শই হেফাজতে সহিংসতার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা ফুটেজের অনুপলব্ধতার কথা উল্লেখ করে। সুপ্রিম কোর্টের এই স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ থেকে বোঝা যায় যে এই আদেশগুলি মেনে চলার ক্ষেত্রে এখনও অনেক ঘাটতি রয়েছে।

Advertisements

Supreme Court: সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়ার অধিকার
সিসিটিভি সিস্টেম ক্রয়, স্থাপন এবং রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করার জন্য গঠিত রাজ্য ও কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ কমিটির ভূমিকাও আদালত তুলে ধরেছে। আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে যে গুরুতর জখম বা হেফাজতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে, ভুক্তভোগী বা তাদের পরিবার মানবাধিকার কমিশন বা আদালতের কাছে যেতে পারে, যাদের তদন্ত এবং প্রমাণের জন্য সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।