SSC Scam: সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলার শুনানি

PIL Filed in Supreme Court Over Maha Kumbh Stampede, Seeks Legal Action Against Those Responsible

সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) পিছিয়ে গেল ২৬০০০ চাকরি বাতিল (SSC Scam) মামলার শুনানি। আজ, সোমবার এই মামলার দ্বিতীয় শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগের বেশ কয়েকটি মামলার শুনানি দীর্ঘ সময় ধরে চলছিল। সেই কারণে সময়ের অভাবে এসএসসির চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। আগামী কাল, মঙ্গলবার সকালেই এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisements

সপ্তাহখানেক আগে ২০১৬-র এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল চাকরিহারাদের একাংশ, এসএসসি এবং পর্ষদ। গত সোমবার এই মামলার প্রথম শুনানি হয়েছিল। সেদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, প্রচুর সংখ্যক চাকরি বাতিল হয়েছে। সব ওএমআর শিট নষ্ট করে দিয়েছে। যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করবেন কীভাবে?

এছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট আরও বলে, দুর্নীতির সুবিধাভোগী কারা সেটা দেখতে হবে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত শূন্যপদে সিবিআই তদন্ত নিয়েও বিশেষ নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে ওইদিন মামলাটির শুনানি হয়। রায়ের একটি অংশের ‘স্থগিতাদেশ’ ছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখা হয়। 

Advertisements

৫ মে ২০২২ এ মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে অতিরিক্ত পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে হাইকোর্ট বলেছিল, যারা যারা অতিরিক্ত পদ তৈরির পরিকল্পনায় যুক্ত, সিবিআই তাঁদের চাইলেই হেফাজতে নিতে পারে। কিন্তু গত সোমবার রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন, এখন নির্বাচন চলছে। তাই সিবিআই তদন্ত করলে পুরো মন্ত্রিসভা জেলে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরপরেই দেশে শীর্ষ আদালত বলেছিল, আপাতত মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না সিবিআই। 

সপ্তাহখানেক আগে ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের এই নজিরবিহীন রায়ের ফলে চাকরি হারান ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। একই সঙ্গে আদালত জানিয়ে দেয়, এসএসসি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে হবে। সুদের হার হবে বছরে ১২ শতাংশ।