‘সিকিমের রূপান্তর ঘটিয়েছে রেল-সড়ক পরিকাঠামো উন্নয়ন’, ভার্চুয়াল বিবৃতি মোদীর

গ্যাংটকের পালজোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত ‘সিকিম@৫০’ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী (modi) স্মরণ করেন যে, একসময় সিকিমে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং কর্মসংস্থানের জন্য যাতায়াত একটি…

modi develops rail and roads of sikkim

গ্যাংটকের পালজোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত ‘সিকিম@৫০’ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী (modi) স্মরণ করেন যে, একসময় সিকিমে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং কর্মসংস্থানের জন্য যাতায়াত একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে, গত দশকে এই পরিস্থিতি আমূল বদলে গেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (modi) বৃহস্পতিবার বলেছেন যে, গত এক দশকে তাঁর সরকারের অন্যতম প্রধান অর্জন হলো যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, যার মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য সিকিমসহ বিভিন্ন রেল ও সড়ক প্রকল্পে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

প্রধান মন্ত্রী কি বলেছেন (modi)

তিনি বলেন, “কেবলমাত্র সিকিমেই প্রায় ৪০০ কিলোমিটার নতুন জাতীয় মহাসড়ক নির্মিত হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি নতুন রাস্তা তৈরি হয়েছে। অটল সেতুর মাধ্যমে সিকিম ও দার্জিলিংয়ের মধ্যে যোগাযোগ অনেক উন্নত হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী মোদী (modi) গ্যাংটকে সফর বাতিল করতে বাধ্য হন এবং পশ্চিমবঙ্গের বাগডোগরা থেকে ভার্চুয়ালি সিকিমে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করেন।

   

মোদী (modi) জোর দিয়ে বলেন, সিকিমের রূপান্তরের সবচেয়ে বড় কারণ হলো রেল এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, যা সিকিমের জনগণ নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি জানান, সিকিমের সঙ্গে কালিম্পংকে সংযুক্ত করা রাস্তার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এছাড়া, বাগডোগরা-গ্যাংটক মোটরওয়ে সিকিমে যাতায়াতকে আরও সহজ করবে।

বাগডোগরা-গ্যাংটক মোটরওয়ে

এই মোটরওয়েকে গোরখপুর-শিলিগুড়ি মোটরওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করার পরিকল্পনাও ঘোষণা করেন তিনি, যা এই অঞ্চলের অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সমস্ত রাজ্যের রাজধানীগুলোকে রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করার প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, সেভোক-রাংপো রেললাইন সিকিমকে জাতীয় রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে একীভূত করবে। তিনি জানান, যেখানে রাস্তা নির্মাণ সম্ভব নয়, সেখানে বিকল্প হিসেবে রোপওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী (modi) বলেন, “এখন সময় এসেছে সিকিমকে কেবল একটি পাহাড়ি স্টেশন হিসেবে নয়, বরং একটি বিশ্বব্যাপী পর্যটন গন্তব্য হিসেবে দেখার। সিকিম একটি সম্পূর্ণ পর্যটন প্যাকেজ, যেখানে অ্যাডভেঞ্চার ও ক্রীড়া পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভারত বিশ্বের অন্যতম প্রধান অর্থনীতির দেশ, এবং আগামী বছরগুলোতে যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নতি এই রাজ্যকে আরো মানুষের কাছে নিয়ে আসবে। সিকিমের যুব সমাজ এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই ভূমি আমাদের বাইচুং ভূটিয়া, অলিম্পিয়ান তারুনদীপ রাই এবং জসলাল প্রধানের মতো কিংবদন্তি দিয়েছে।”

তিনি (modi) আরও বলেন, “গত এক দশকে আমাদের সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে। আমরা ‘অ্যাক্ট ফাস্ট’ মডেলে কাজ করছি, যা আমাদের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দ্বারা পরিচালিত।” প্রধানমন্ত্রী (modi) সিকিমে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করেন।

Advertisements

এর মধ্যে রয়েছে নামচি জেলায় ৭৫০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের একটি ৫০০ শয্যার জেলা হাসপাতাল, গ্যালশিং জেলার সাংগাচোলিং, পেলিংয়ে একটি যাত্রী রোপওয়ে এবং গ্যাংটক জেলার সাংখোলায় অটল অমৃত উদ্যানে ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীর মূর্তি। এছাড়া, তিনি সিকিমের রাজ্যত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্মারক মুদ্রা, স্যুভেনির মুদ্রা এবং ডাকটিকিট প্রকাশ করেন।

বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র-সহ যৌথ বাহিনীর জালে দুই জঙ্গি, সংঘর্ষ এড়িয়ে আত্মসমর্পণ

সিকিমের উন্নয়নের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করবে

মোদী (modi) বলেন, এই প্রকল্পগুলো সিকিমের উন্নয়নের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করবে এবং রাজ্যের জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সিকিমের পর্যটন সম্ভাবনাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে হবে। এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং ক্রীড়া সম্ভাবনা বিশ্বব্যাপী পর্যটকদের আকর্ষণ করতে সক্ষম।

প্রধানমন্ত্রী(modi) আরও বলেন, সিকিমের উন্নয়নের জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি অটুট। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির অধীনে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে যোগাযোগ পরিকাঠামো , স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ব্যাপক কাজ চলছে। সিকিমের জনগণের জন্য এই প্রকল্পগুলো নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে এবং রাজ্যকে একটি আধুনিক ও সমৃদ্ধ গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলবে।

এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সিকিমের জনগণকে তাদের রাজ্যত্বের ৫০ বছর পূর্তির জন্য শুভেচ্ছা জানান এবং আগামী দিনে রাজ্যের আরও উন্নতির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তাঁর এই বক্তব্য এবং উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সিকিমের জনগণের মধ্যে নতুন আশা ও উৎসাহের সঞ্চার করেছে, যা রাজ্যের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের পথকে আরও সুগম করবে।