জমি দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়, তলব মুখ্যমন্ত্রীকে

কর্ণাটক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়াকে (Siddaramaiah) মিসুরুর জমি কেলেঙ্কারি মামলার তদন্তের জন্য লোকায়ুক্তা কর্তৃপক্ষের কাছে হাজির হতে বলা হয়েছে। আগামী বুধবার, তিনি এই সমন গ্রহণ করবেন।…

Siddaramaiah

কর্ণাটক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়াকে (Siddaramaiah) মিসুরুর জমি কেলেঙ্কারি মামলার তদন্তের জন্য লোকায়ুক্তা কর্তৃপক্ষের কাছে হাজির হতে বলা হয়েছে। আগামী বুধবার, তিনি এই সমন গ্রহণ করবেন। এর আগে, লোকায়ুক্তা পুলিশ কেসটির সঙ্গে জড়িত হয়ে সিদ্ধারামাইয়ার (Siddaramaiah) স্ত্রী, পার্বতী বিএম-কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া (Siddaramaiah)এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন এবং বলেছেন, তিনি সমনের উত্তর দেবেন। এ ঘটনা ঘটে যখন একটি আদালত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে, রাজ্যপাল থাওয়ারচন্দ গাহলট মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লোকায়ুক্তা তদন্তের অনুমতি দিতে পারেন। এর ফলে, এই তদন্ত আরও জোরদার হয়েছে।

   

এই এফআইআর-এ শুধু সিদ্ধারামাইয়া এবং তাঁর স্ত্রীই নয়, তাঁর শ্যালক মাল্লিকার্জুন স্বামী, দেবরাজ ও অন্যান্য ব্যক্তির নামও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এ মামলার পটভূমিতে রয়েছে মিসুরুর একটি আপমার্কেট অঞ্চলে ১৪টি উচ্চ মূল্যের প্লট বরাদ্দের ঘটনা। অভিযোগ করা হয়েছে, এই জমিগুলি পার্বতীকে ৩.১৬ একর জমির জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল, যা কেসারে গ্রামের কাছে অবস্থিত।

সক্রিয় কর্মীরা দাবি করেছেন যে, এই বরাদ্দের ফলে রাজ্যকে ৪৫ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে, এই প্লটগুলির বরাদ্দে অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে, যা রাজ্য সরকারের জন্য এক বড় সংকট সৃষ্টি করেছে।

এই ঘটনার পর রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিরোধী দলের নেতারা সিদ্ধারামাইয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন এবং এই তদন্তকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন। তবে, সিদ্ধারামাইয়া নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন এবং বলেছেন যে, এই অভিযোগগুলি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত।

মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া বলেছেন, “আমি কোনো অপরাধ করিনি। এই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক চাপের ফল।” তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, তদন্ত চলাকালীন তিনি পরিষ্কারভাবে সত্য প্রমাণ করতে পারবেন।

লোকায়ুক্তার তদন্তে জনগণের নজর রয়েছে। তারা আশা করছেন যে, এই তদন্ত সঠিকভাবে হবে এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণের আস্থা ফিরে পাওয়ার জন্য সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।