হতবাক চিকিৎসক, কিশোরের পেট থেকে মিলল ঘড়ির ব্যাটারি, ব্লেড সহ ৫৬ টি ধাতু

কিশোরের পেট (Teen’s Stomach) থেকে মিলল ঘড়ির ব্যাটারি ব্লেড সহ ৫৬ টি ধাতু। উত্তরপ্রদেশের হাতরাসের ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরের দিল্লির একটি হাসপাতালে অস্ত্রপচার (Surgery)…

Teen's Stomach Surgery

short-samachar

কিশোরের পেট (Teen’s Stomach) থেকে মিলল ঘড়ির ব্যাটারি ব্লেড সহ ৫৬ টি ধাতু। উত্তরপ্রদেশের হাতরাসের ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরের দিল্লির একটি হাসপাতালে অস্ত্রপচার (Surgery) করা হয়। অপারেশনের পর ডাক্তাররা ওই কিশোরেরে পেট থেকে ঘড়ির ব্যাটারি, ব্লেড ও পেরেকসহ ৫৬টি জিনিস বের করে। যদিও অস্ত্রপচারের পর ওই কিশোরের মৃত্যু হয়।

   

নিহত কিশোরের বাবা সঞ্চিত শর্মা, তিনি হাতরাসে একজন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ (এমআর) হিসাবে কাজ করেন, তিনি বলেন, নবম শ্রেণিতে পড়তো তার ছেলে আদিত্য শর্মা (১৫)। তার দেহের ভিতরে পাওয়া এই জিনিসগুলি চিকিত্সকদের অবাক করেছে।

সঞ্চিত শর্মা বলেন, তার ছেলে সফদরজং হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের একদিন পরে মারা যায়। তিনি বলেন, এর কারণ ছিল তার হৃদস্পন্দন বেড়ে গিয়েছিল এবং রক্তচাপ আশঙ্কাজনকভাবে কমে গিয়েছিল।তিনি আরও বলেন ,উত্তরপ্রদেশ, জয়পুর ও দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা পরীক্ষায় আদিত্যের পেটে এই জিনিসগুলি ধরা পড়ে। তিনি বলেন, তার ছেলে যখন পেটে প্রচণ্ড ব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের ভুগছিলেন তখন তারা চিন্তিত হয়ে পড়েন।

সোমে আবহাওয়ার পরিবর্তন,কমছে পারদ,থাকছে বৃষ্টির পূর্বাভাস

আদিত্যকে প্রথমে হাতরাসের একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখান থেকে ডাক্তারি পরামর্শে তাকে পরে জয়পুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসার পর রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যখন তার লক্ষণগুলি আবার দেখা দিতে শুরু করে, তখন তার পরিবার তাকে আলিগড়ের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে তার শ্বাসকষ্ট কমানোর জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়।

কিশোরের স্ক্যানে দেখা যায় ৫৬টি ধাতব টুকরো। ২৬ অক্টোবর আলিগড় হাসপাতালের একটি পোস্ট সার্জারির আল্ট্রাসাউন্ডে আদিত্যের দেহের ভিতরে প্রায় ১৯ টি বস্তুর উপস্থিতি জানান হয়েছিল, যার পরে ডাক্তাররা তাকে নয়ডায় একটি উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করেছিলেন।

নয়ডাতেও, ডাক্তাররা আবার ছাত্রের শরীর স্ক্যান করেন, যেখানে প্রায় ৫৬ টি ধাতুর টুকরো উপস্থিতি দেখা যায়। এর পরে পরিবার ছেলেটিকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে ২৭ অক্টোবর তার একটি অপারেশন করা হয়।

নিহত কিশোরের বাবা বললেন, “চিকিৎসকরা তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু হয়তো ভাগ্যের অন্য পরিকল্পনা ছিল। আমার ছেলে দিল্লির একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের একদিন পর মারা গিয়েছিল কারণ তার হৃদস্পন্দন বেড়ে গিয়েছিল এবং তার রক্তচাপ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গিয়েছিল।