উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের (Joshimath) মতো ভয় যদি নৈনিতালেও৷ একই ঘটনা পুনরাবৃত্তি হলে হাজার হাজার জনসংখ্যা বিপদে পড়বে। নৈনিতালের পাদদেশ বলে পরিচিত বালিয়ানালা প্রতিদিনই ভেঙে যাচ্ছে৷ যার জেরে প্রতি মুহূর্তে আতঙ্কে রয়েছেন এখানকার বাসিন্দারা। এর হাল থেকে বের হতে অর্থ মঞ্জুর করা হলেও, টেন্ডার না হওয়ায় মানুষ আতঙ্কিত।
নৈনিতালের এই পুরো এলাকা বিপদে পড়েছে। বালিয়ানালে ভাঙনের কারণে পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে, ফলে প্রতি মুহূর্তেই বাড়িঘর ধসের আশঙ্কা রয়েছে। ড্রেনের সঙ্কট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শত শত ঘরবাড়ি, হাজার হাজার মানুষের তাই টাকা মঞ্জুর হওয়ার পরও চিকিৎসার কাজ ছাড়, এমনকি টেন্ডারও জারি হয়নি। এ এলাকার মানুষ আতঙ্কের ছায়ায় দিন কাটাচ্ছে এবং এখন সরকারকে প্রশ্ন তুলছে কবে জনসাধারণ স্বস্তি পাবে।
আসলে, নৈনিতালের অস্তিত্ব বালিয়ানালের এই পাহাড়ের উপর ভিত্তি করে, তাই গত কয়েক বছরে এখানে প্রতিদিন ভাঙন হচ্ছে। হাইকোর্টের নির্দেশে হাই পাওয়ার কমিটি গঠনের পর হাইকোর্টও চিকিৎসার জন্য সরকারকে বড় নির্দেশ দেন। করোনার সময় জাপানি কোম্পানি কাজ ছেড়ে দিলেও পুনের কোম্পানি জেনস-টু সরকারকে ২০০ কোটি টাকার ডিপিআর দিয়েছে। এর জন্য এক মাস আগে অর্থ বরাদ্দও করেছে সরকার। তবে এখন পর্যন্ত টেন্ডার না করার পেছনে সরকারের নিজস্ব যুক্তি রয়েছে।
তবে নৈনিতালের জন্য বালিয়ানের চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা না হলে যোশীমঠের মতো পরিস্থিতিও হবে শিগগিরই। সরকারের উচিত এখনই টেন্ডার করা যাতে মানুষের ঘরবাড়ি ও তাদের বাঁচানো যায়।