জাতীয় রাজনীতিতে সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের সুমধুর সম্পর্ক সকলের জানা। বিষয়টি আরও ভালো করে দেখলে দেখা যাবে, রাজনীতিতে রাহুল গান্ধী এবং সীতারাম ইয়েচুরির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও নিবিড়৷ কিন্তু ইতিহাস বলছে শাসক যখন বাম, তখন বারবার আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে কংগ্রেসকে, উল্টোটাও হয়। এই রেশ ধরে কেরলের (Kerala)ওয়ানাডে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর অফিসে হামলায় জড়াল বাম ছাত্র সংগঠন SFI
এসএফআইয়ের এই হামলার সংবাদে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি জানিয়েছেন, কেরলের ওয়ানাডে যে ঘটনা ঘটেছে তার তীব্র নিন্দা জানাই। কেরলের এলডিএফ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ও শীর্ষ সিপিআইএম নেতা পিনারাই বিজয়ন এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। যারা এই ঘটনায় দোষি তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তি নেওয়া হবে।
কেরলে পরপর দুবার ক্ষমতায় এলডিএফ। এ কাজ্যে তাদের মূল রাজনৈতিক লড়াই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে৷ আবার জাতীয় রাজনীতিতে একসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে সিপিআইএম ও কংগ্রেস একই মঞ্চে লড়াই করছে। অতীতে এনডিএ-১ এবং এনডিএ-২ এর পর সাম্প্রতিককালে পশ্চিমবঙ্গে সিপিআইএম ও কংগ্রেস জোটের হাওয়া বয়ে গেছে। তাই কোনভাবেই মোদী বিরোধী জোটে বিন্দুমাত্র চিড় ধরুক তা চান না কেরলে ক্ষমতাসীন সিপিআইএম নেতারা।
ওয়ানাডে এসএফআইয়ের হামলার পর মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেন, সংবিধান মেনে সকলের আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু কখনই তা মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। এটা খুব খারাপ মনোভাব। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়েছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল৷ তিনি বলেন, এসএফআইয়ের গুন্ডারা যেভাবে রাহুল গান্ধীর অফিসে হামলা চালাল তার কড়া নিন্দা জানাই৷ ঘটনার পিছনে সিপিআইএম ও বিজেপির যৌথ মদত রয়েছে বলে দাবি করছেন কংগ্রেস নেতা৷ মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর।