খদ্দের সেজে সেক্স-র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস করল পুলিশ

শহরের নামী কমপ্লেক্স। রমরমিয়ে চলছিল ‘ইডেন স্পা সেন্টার’। আড়ালে অন্য কিছু (Sex Racket)। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর গেল পুলিশের কাছে। এরপর নাটকীয় ঢঙে চালানো হল ‘অপারেশন’।…

Sex Racket

শহরের নামী কমপ্লেক্স। রমরমিয়ে চলছিল ‘ইডেন স্পা সেন্টার’। আড়ালে অন্য কিছু (Sex Racket)। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর গেল পুলিশের কাছে। এরপর নাটকীয় ঢঙে চালানো হল ‘অপারেশন’।

রাজধানী ভোপালের অরোরা কলোনি। মূল শহর থেকে কিছুটা দূরে। সম্ভ্রান্ত মানুষের বাস। সেখানে ইডেন স্পা সেন্টার। বাইরে থেকে দেখে স্পা সেন্টার বলে মনে হওয়াই স্বাভাবিক। আড়ালের খবর পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশের কাছে। দুধ কা দুধ, পানি কা পানি করতে মোক্ষম পরিকল্পনা আঁটল পুলিশ। চালানো হল অপারেশন।

   

ইডেন স্পা সেন্টারে পাঠানো হল একজন পুলিশ কর্মীকে। তবে সাধারণ উর্দিতে নয়। খদ্দের সেজে, ছদ্মবেশে। স্পা’র বাইরে গোপনে পুলিশের বাহিনী। বেচাল কিছু দেখলেই বাইরে সিগন্যাল দেবেন খদ্দের সাজা ব্যক্তি। এই ছিল প্ল্যান।

খদ্দের বা কাস্টমার দেখে সন্দেহ হয়নি স্পা’র কর্মীদের। অনায়াসেই ভিতরে ঢুকে পড়েন ছদ্মবেশী পুলিশ। তাঁর বুঝতে দেরি হল না ভিতরের ব্যাপারস্যাপার। পরিকল্পনা মতো সিগন্যাল পাঠালেন সেন্টারের বাইরে বাকিদের। সঙ্গে সঙ্গে ইডেন স্পা সেন্টারে ঢুকে পড়ল বাহিনী। উর্দিধারী পুলিশ ঘিরে ফেলেছে স্পা সেন্টারকে। পালানোর কোনো জায়গা নেই।

পুলিশ দেখে স্পা সেন্টারে হইহই ব্যাপার। যে যেদিকে পারে দৌড় দিতে চেষ্টা চালাল। কিন্তু যাবেটা কোথায়। পুলিশ যে ঘিরে ফেলেছে চারিদিক থেকে। সবাইকে অ্যারেস্ট।

স্পা’র ভিতরের ঘরে তখন যুবক-যুবতীরা। সেখানেও পুলিশি হানা। ঊর্ধ্বশ্বাসে পালানোর চেষ্টা করল তারা। নিখুঁত অংক কষে তবেই অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ বাহিনী। পর্দার আড়ালে থাকা ব্যক্তিদের হাতেও পড়ল হাতকড়া। গ্রেফতার ৬ যুবতী এবং ৪ যুবক। গ্রেফতার স্পা-এর ম্যানেজার। সম্ভ্রান্ত এলাকার মধ্যে চলছিল সেক্স র‍্যাকেট- পর্দা ফাঁস।