বন্যায় ত্রিপুরা-বাংলাদেশ ডুবছে, এপারে পানীয় জল সংকট-ওপারে ‘পানি চাই’ হাহাকার

গোমতী, হাওড়াসহ বিভিন্ন নদীর বন্যায় (Tripura Flood) ত্রিপুরায় খাওয়ার জলের সংকট শুরু। তেমনই সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অংশে বন্যার্তদের হাহাকার ‘খাওয়ার পানি নাই’। স্মরণাতীত কালে ভয়াবহ…

Tripura Flood. ত্রিপুরা বন্যা

গোমতী, হাওড়াসহ বিভিন্ন নদীর বন্যায় (Tripura Flood) ত্রিপুরায় খাওয়ার জলের সংকট শুরু। তেমনই সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অংশে বন্যার্তদের হাহাকার ‘খাওয়ার পানি নাই’। স্মরণাতীত কালে ভয়াবহ বন্যার কবলে ভারত ও বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ। অতি বর্ষণের সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

উত্তরপূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরা রাজ্যের তিনদিকে বাংলাদেশ। উপগ্রহ ও ড্রোন চিত্রগুলি দেখাচ্ছে, ত্রিপুরার লাগোয়া বাংলাদেশের দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, কুমিল্লা ছাড়িয়ে আরও দূরবর্তী নোয়াখালী পর্যন্ত এলাকগুলির ডুবে যাওয়া ছবি।

   

ত্রিপুরার বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আলোচনা করেছেন। মানিক সাহা জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন ১১টি এনডিআরএফ টিম ত্রিপুরায় পাঠানো হবে এবং বন্যা কবলিত এলাকায় আটকে পড়া লোকজনকে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে উদ্ধার করার জন্য ব্যবস্থা করা হবে।

৩০জন এনডিআরএফ কর্মীর একটি দল বুধবার রাতে রাজ্যে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার সকালে আগরতলা বিমান বন্দরের ভিতর প্রবল গতিতে জল ঢুকতে শুরু করে। সারারাত প্রবল বর্ষণের ফলে আগরতলা এয়ারপোর্টের বাউন্ডারির উপর দিয়ে জল প্রবাহিত হচ্ছে।

বাল্যবিবাহ রুখতে অসমে নয়া আইন, মুসলিমদেরও করতে হবে বিবাহ ও বিচ্ছেদ নথিভুক্ত

জানা গিয়েছে, তিন দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো ত্রিপুরার ডুম্বুর জলাধারের গেট খুলে দিয়েছে ভারত। সেই কারণে ভারতের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি বাংলাদেশের বহু জায়গা জলের তলায়। কেন ভারত সরকার আগাম নোটিশ না দিয়ে জলাধারের গেট খুলল এই প্রশ্ন তুলছে বাংলাদেশ।

ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে বাংলাদেশ, ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষাধিক মানুষ

রাজ্যের বিরোধী দল সিপিআইএমের অভিযোগ রাজ্যব্যাপী যখন এই বিপর্যয় তখন বার বার প্রশ্নচিয়ের সামনে প্রশাসনের ভূমিকা। ত্রাণশিবিরগুলিতে ন্যূনতম খাবার নেই, জল নেই। কোথাও কোথাও ত্রাণশিবিরও জলমগ্ন। উধাও প্রশাসনের লোকজন। শাসক দল বিজেপির দাবি রাজ্য সরকার বন্য মোকাবিলায় সবরকম চেষ্টা করছে।

আগরতলা শহর ভাসছে জলের উপর। হাওড়া নদীর জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। ভারি বৃষ্টি হতে থাকলে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যেতে পারে বলে অভিমত অভিজ্ঞ মহলের।

রাজের সব নদী বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। হাজার হাজার একর ধানজমি জলের তলায়। দুর্গত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন শিবিরে। অভিযোগ, সেখানে প্রয়োজনীয় সাহায্য মিলছে না। কিছু স্থানে বাঁধ ভেঙ্গেছে। বহু জায়গায় নদীর বাঁধ ভাঙার সম্ভাবনা দেখ্য দিয়েছে। অভিযোগ, অনেক স্থানে প্রশাসনের দেখা নেই। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গ্রামের সঙ্গে শহরের।