আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তারপরই দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। ভোটের আগে ফের রক্তাক্ত ছত্তিশগড়। ছত্তিশগড়ের কাঙ্কের জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং মাওবাদীদের সংঘর্ষ। এনকাউন্টারে প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ১৮ জন মাওবাদী (Maoists Killed)। তাদের মধ্যে অন্যতম মাও নেতা শঙ্কর রাও। যার মাথার দাম ধার্য করা হয়েছিল ২৫ লক্ষ টাকা। সংঘর্ষ স্থল থেকে প্রচুর সংখ্যক একে ৪৭ রাইফেল উদ্ধার করেছে বাহিনী।
লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে বড়সড় নাশকতা করার ছক কষা হয়েছিল বলে মনে করছে নিরাপত্তা বাহিনী। বাহিনীর এক কর্তা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় মাওবাদীদের আনাগোনার খবর ছিল। সেই মতো এলাকায় জেলা রিজার্ভ গার্ড, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স এবং কোবরা বাহিনীকে পাঠানো হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের দেখে গুলি চালায় মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনী। দু’পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে।
সূত্রের খবর, বেলা দেড়টা নাগাদ দু’পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। তবে ঠিক কতজন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও সরকারি ভাবে জানানো হয়নি। ছত্তিশগড়ে মাওবাদী-নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টার প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা। যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের আলাদা আলাদা ঘটনায় চলতি বছর ছত্তিশগড়ে ৪৬ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। তার মধ্যে ২৭ জন বীজাপুর জেলাতেই। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১৮১ জন মাওবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আত্মসমর্পণ করেছে ১২০ জন।
#WATCH | "Bodies of 18 naxals recovered from encounter site in Chhotebethiya of Kanker. 3 jawans were injured in the operation. Search operation underway. This can be seen as one of the biggest anti-naxal operations in the area. The operation was launched after information of the… pic.twitter.com/7YeUxEzoq5
— ANI (@ANI) April 16, 2024
এর আগে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে বীজাপুর জেলার গঙ্গালুর থানা এলাকার গভীর জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ১২ ঘণ্টার গুলিযুদ্ধে অন্তত ১৩ জন মাওবাদী নিহত হয় বলে দাবি করেছিল পুলিশ। তাদের মধ্যে তিন জন মহিলা ছিলেন। নিহতরা পিপল’স লিবারেশন গেরিলা আর্মির (পিএলজিএ) দু’নম্বর কোম্পানির দু’নম্বর প্ল্যাটুনের সদস্য। সংঘর্ষস্থল থেকে প্রচুর গুলিগোলা এবং অস্ত্রও উদ্ধার করে পুলিশ।