উত্তরপ্রদেশের হাবতর কাণ্ডের ছায়া এবার বিহারে। ধর্মীয় জমায়েতে ফের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল সাত পুণ্যার্থীর। ঘটনায় জখম অন্তত ৩৫। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের জেহানাবাদ জেলায়। জখম পুণ্যার্থীদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। তাঁদের চিকিত্সা চলছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।
আজ দেশে ৯৩.৯৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল, কলকাতায় ডিজেলের রেট কত?
জানা গিয়েছে, প্রতি বছর শ্রাবণ মাসেই বারাভর পাহাড়ে বাবা সিদ্ধেশ্বর নাথ মন্দিরে জড়ো হন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। রবিবার রাতেও বহু পুণ্যার্থীর ভিড়, জমেছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই ভিড়ে হঠাত্ হইহট্টগোল শুরু হয়। তখন ভিড় সামলাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তাতেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়। মন্দিরের মধ্যে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান সাতজন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের। বাকিদের কোনওরকমে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
#WATCH | Bihar: Vikas Kumar, SDO Jehanabad says, “It is a sad incident…All the arrangements were tight, we are taking stock of the situation and then will further inform you about this…” https://t.co/yw6e4wzRiY pic.twitter.com/N7l6yyQrQE
— ANI (@ANI) August 12, 2024
সপ্তাহের শুরুতে হুড়মুড়িয়ে কমল রুপোর দাম, কলকাতায় সোনার রেট জানেন?
নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরের সামনে দুই ফুল বিক্রেতার মধ্যে ঝামেলা চলছিল। তার সামনে অনেকে জড়ো হয়েছিলেন। মন্দির চত্বরে যাতে ভিড় না জমে, তার জন্যেই ভক্তদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তাতেই ঘটে দুর্ঘটনা। পুণ্যার্থীদের দাবি, মন্দিরে ভিড় নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। স্থানীয়রাই ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করছিলেন। তাঁদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পর্যন্ত ছিল না, আর তার জেরেই ঘটেছে এই ভয়াবহ পদপিষ্টের ঘটনাটি।
আগামী ফুটবল বিশ্বকাপ জিতবে পাকিস্তান, জানালেন বিলাওয়াল
খবর পেয়েই রবিবার রাতেই ঘটনাস্থলে যান জেহানাবাদ জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। তবে মৃতদের দেহ এখনও পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। তাঁদের পরিবারের লোকেরাও ভিড় জমান ঘটনাস্থলে। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হবে বলে পুলিশ-প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
গত জুনে হাতরসে সত্সঙ্গের অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বহু ভক্তের। ঘটনাটি সিবিআই তদন্ত শুরু করে। অভিযুক্ত ধর্মগুরু পলাতক ছিল ঘটনার পর।