সচিনের জন্য সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান থেকে আসা সীমা হায়দার (Seema Haider) প্রায়শই খবরের শিরোনামে। সীমার গর্ভবতী হওয়ার খবর সামনে এসেছে। নতুন বছরে অর্থাৎ ২০২৪ সালে মা হওয়ার কথা বললেন সীমা হায়দার। সীমা হায়দারকে এক সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে তিনি কবে নাগাদ নতুন অতিথির আগমনের ঘোষণা করবেন, তখন তিনি জানান সেই দিনটা খুব দূরে নয়।
ইনখাবার অফিসিয়াল সাক্ষাৎকার অনুসারে, ২০২৪ সালে মা হতে চলেছেন সীমা হায়দার। সচিন ও তার পরিবারের সাথে কথা বলার সময় সীমা গর্ভবতী হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। সীমা হায়দারের হাত দেখে শচীনের বাবা দাবি করেছেন, ছেলে হবে।
সাক্ষাৎকারে সীমাকে প্রশ্ন করা হয়, ‘২০২৪ কি নতুন সুখ নিয়ে আসছে?’ এর উত্তরে সীমা বলেন, এটি সম্পূর্ণ নতুন সুখ নিয়ে আসবে। সীমা আরও বলেন, ‘২০২৩ অনেক সুখ নিয়ে এসেছে, আমি স্বীকার করছি যে আমি কিছুটা দুঃখ পেয়েছি।’
জানা গেছে, সীমা যখন পাকিস্তান থেকে ভারতে আসেন, তখন তিনি তার সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে আসেন। সীমার চারটি সন্তান রয়েছে, তাদের মধ্যে একটি ছেলে যার নাম ফারহান আলী, এখন তার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে রাজ। তার বয়স ৮ বছর। এ ছাড়া সীমার তিন মেয়ে ফারওয়া (নাম পরিবর্তন করে প্রিয়াঙ্কা, বয়স ৬ বছর), ফারিহা বাটুল (নাম পরিবর্তন করে মুন্নি, ৪ বছর) এবং ফারহা বাটুলের নাম পরিবর্তন করে পরী রাখা হয়েছে।
পাক নাগরিক সীমা হায়দরের সাথে সামাজিক মাধ্যমে পরিচয় ও প্রেম হয় ভারতীয় সচিনের। পাকিস্তান ছেড়ে নেপালে আসেন সীমা। সেখানে দুজনে বিয়ে করেন। পরে নেপাল থেকে সহজভাবে ভারতীয় দম্পতি সেজে সীমা হায়দর ও সচিন খোলা সীমান্ত পার করে ভারতে ঢোকেন। সীমার পরিচয় পরে জানা গেলে হতচকিত হয় ভারত সরকার। টানা জেরার পর গোয়েন্দা বিভাগ সীমাকে সচিনের সাথে থাকার ছাড়পত্র দেয়।
সীমা হায়দর যেভাবে নেপাল থেকে ভারতে ঢুকেছিল তা নিয়ে গোয়েন্দা বিভাগ উদ্বেগে। কারণ নেপাল ও ভারতের খোলা সীমান্ত দিয়ে যে কেউ বিনা ভিসায় যাতায়াত করতে পারে। এতে দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি গোয়েন্দা বিভাগের।