কেন্দ্র সরকার যতদিন না ব্রিটিশদের তৈরি আইনের পুনর্বিবেচনা করছে, ততদিন এই রাষ্ট্রদ্রোহ আইন (Sedition Law) স্থগিত থাকবে। এমনই চাঞ্চল্যকর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।
রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার। এই আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই আইনে আর কোনও গ্রেফতার করা হবে না। এই আইন প্রয়োগ করে যে সমস্ত মামলা চলছে তা স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
প্রধান বিচারপরি এনভি রামানা বলেন, আপাতত পুনির্বিবেচনা না করা অবধি এই আইন স্থগিত রাখা হলো। তিনি বলেন, আমরা আশা রাখছি যতদিন অবধি বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে, ততদিন কেন্দ্র এবং রাজ্য ১২৪ এ ধারায় অভিযোগ দায়ের করবে না।
যতদিন না আইনের পুনর্বিবেচনা হচ্ছে, ততদিন কী এই আইনের আওতায় রুজু হওয়া মামলা স্থগিত রাখা যায়? একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন কেন্দ্র সরকারের কাছে কোনও অধিকার আছে যেখানে রাজ্যগুলিকে এই আইন প্রয়োগ না করার কথা বলতে পারে?
এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়, একমাত্র পুলিশ সুপার এবং তাঁর উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিকরাই মামলা রুজু করতে পারবে। এরপরেই রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে স্থগিতাদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে। মঙ্গলবারই রাষ্ট্রদ্রোহ আইন পুনর্বিবেচনার শুনানি চলাকালীন মামলাগুলিকে স্থগিত রাখা এবং ভবিষ্যতে আর কোনও মামলা দায়ের না করার বিষয়ে কেন্দ্রের মতামত জানতে চেয়েছিল আদালত।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, দায়ের হওয়া মামলাগুলির স্থগিত রাখার বিষয়টি পুলিশের এক্তিয়ারের মধ্যে নেই। একমাত্র আদালত এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তিনি আরও বলেন, এই ক্ষেত্রে আইন স্থগিত না রেখে এই মামলায় অভিযুক্তদের জামিনের আদেশের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। সেই মামলায় একাধিক বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা দরকার। কারণ, বিষয়টির সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ, আর্থিক তছরুপ সহ একাধিক বিষয়গুলি যুক্ত রয়েছে।