জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে একটি জঙ্গী সংঘর্ষে (Terrorists Encounter in Jammu and Kashmir) এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এই সংঘর্ষটি ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরের ডাচিগাম বনাঞ্চলে, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী এবং জঙ্গীদের (Terrorists Encounter in Jammu and Kashmir)মধ্যে তীব্র গোলাগুলি হয়। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী (Terrorists Encounter in Jammu and Kashmir) এবং পুলিশ একটি যৌথ অভিযান শুরু করেছিল, যা স্পেসিফিক তথ্যের ভিত্তিতে হরওয়ান এলাকার উঁচু পাহাড়ি অঞ্চলগুলিতে চালানো হয়েছিল।
চিনার কোর্পসের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়, “২০২৪ সালের ২ ডিসেম্বর, নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর (Terrorists Encounter in Jammu and Kashmir)পুলিশ শ্রীনগরের হরওয়ান এলাকায় যৌথ অভিযান শুরু করেছিল। প্রথমে খোঁজ পাওয়ার পর জঙ্গীদের সঙ্গে গোলাগুলি শুরু হয়।” নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, এই অঞ্চলে জঙ্গীরা আড়াল হয়ে আছেন এবং সেই স্থানটি এখন ঘিরে রাখা হয়েছে। পুলিশ ওই এলাকা পর্যন্ত যাওয়ার সকল রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়ার পর একটি কর্ডন এবং সার্চ অপারেশন (CASO) চালানো হয়েছিল। অভিযানটি তীব্রভাবে চালানো হয় এবং এলাকা ঘিরে ফেললে জঙ্গীদের সঙ্গে গোলাগুলি শুরু হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “এলাকার চারপাশে কর্ডন শক্তভাবে স্থাপন করা হয়েছে, এবং মঙ্গলবার সকালে অভিযান পুনরায় শুরু করা হয়।”
পূর্ববর্তী কিছু মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) জঙ্গী হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে, নিরাপত্তা বাহিনী শ্রীনগরসহ কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযানের তীব্রতা বাড়িয়েছে। এর আগে, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে, বারামুল্লা পুলিশ নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে (Jammu and Kashmir) যৌথ অভিযান পরিচালনা করে কুনজার এলাকায় একটি সন্ত্রাসী গোপন ডেরা উৎখাত করতে সক্ষম হয়। এই অভিযানে পুলিশ জঙ্গী অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে এবং সন্ত্রাসীদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, সন্ত্রাসীদের ছদ্মবেশী গোপন ডেরা উচ্ছেদ করার মাধ্যমে তারা যে কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে, এবং এই অভিযানটি কাশ্মীর উপত্যকায় শান্তি ও সম্প্রতির পক্ষে একটি বড় পদক্ষেপ ছিল।
আজকের সংঘর্ষে নিহত জঙ্গী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশিত হয়নি, তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে এই অভিযানে একজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন এবং বাকি সন্ত্রাসীরা গা ঢাকা দিয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অভিযানটি অত্যন্ত সাফল্যমণ্ডিত ছিল কারণ জঙ্গীদের গোপন আস্তানাগুলিকে উন্মুক্ত করে তাদের পরিকল্পনাগুলি ব্যর্থ করা সম্ভব হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকাণ্ডে আরও তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শ্রীনগরের হরওয়ান এলাকায় এই সংঘর্ষটি ছিল শুধু একটি উদাহরণ, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জঙ্গীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, আগামী দিনগুলিতে আরো সন্ত্রাসী অভিযান সফল হবে এবং কাশ্মীরের শান্তি বজায় রাখতে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলমান রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর এই সাফল্যগুলি সন্ত্রাসী দলগুলির পরিকল্পনাকে ব্যাহত করছে এবং কাশ্মীর উপত্যকায় শান্তির দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। তবে, জঙ্গী হামলার হুমকি এখনও পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, তারা অব্যাহতভাবে কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাবে এবং জঙ্গীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
এই ধরনের অভিযানগুলি কেবল জঙ্গী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামই নয়, বরং এলাকার জনগণের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে। স্থানীয়দের মধ্যে এই অভিযানগুলির প্রতি সমর্থন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, কারণ তারা জানে, এই ধরনের পদক্ষেপগুলি কাশ্মীর উপত্যকায় শান্তি ফেরানোর একটি বড় পদক্ষেপ।