শিক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে যে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্কুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শৈশব থেকে অনুপ্রাণিত স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ‘চলো জিতে হ্যায়’ প্রদর্শিত করতে হবে। নির্দেশটি দেওয়া হয়েছে সিবিএসই (CBSE), কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠন (KVS) এবং নবোদয় বিদ্যালয় সমিতি (NVS)-এর অধীনস্থ স্কুলগুলিকে।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, এই ছবি প্রদর্শনের উদ্দেশ্য হলো ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে চরিত্রগঠন, দায়িত্ববোধ, সহানুভূতি ও আত্মবিশ্লেষণের মতো গুণাবলি বাড়ানো। শিক্ষা মন্ত্রকের বক্তব্য, সিনেমা এমন একটি শক্তিশালী মাধ্যম যা বিমূর্ত মূল্যবোধকে বাস্তব রূপ দেয়, নৈতিক দ্বন্দ্ব, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও মানবিক আবেগকে সহজে বোধগম্য করে তোলে।
এই প্রদর্শনী মূলত প্রেরণা নামক কর্মসূচির অন্তর্গত। গুজরাটের ভদনগরের ঐতিহাসিক ভের্নাকুলার স্কুল থেকে এই কর্মসূচি চালু হয়েছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর শিক্ষাজীবনের সূচনা করেছিলেন। প্রেরণা কর্মসূচি নয়টি মানবিক মূল্যে গড়ে উঠেছে—
স্বাভিমান ও বিনয়
শৌর্য ও সাহস
পরিশ্রম ও সমর্পণ
সত্যনিষ্ঠা ও শুচিতা
করুণা ও সেবা
নবাচার ও জিজ্ঞাসা
বৈচিত্র্য ও ঐক্য
শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস
স্বাধীনতা ও কর্তব্য
এই কর্মসূচির আওতায় গল্প বলা, দেশীয় খেলা, মূল্যবোধভিত্তিক আলোচনা, অডিও-ভিজ্যুয়াল শিক্ষার মতো বিভিন্ন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘চলো জিতে হ্যায়’ ৩২ মিনিটের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। কাহিনি আবর্তিত হয়েছে ছোট্ট ‘নারু’-কে কেন্দ্র করে, যে স্বামী বিবেকানন্দের দর্শন দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে সমাজের জন্য কিছু করার চেষ্টা করে। পরিচালক মঙ্গেশ হাডাওলের এই ছবিটি প্রযোজনা করেছিলেন আনন্দ এল. রাই এবং মহাবীর জৈন। মুক্তির বছরেই এটি ৬৬তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে Best Non-Feature Film on Family Values বিভাগে জাতীয় পুরস্কার পায়।
এই বছর ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রক ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক যৌথভাবে এই ছবিটি পুনঃপ্রদর্শনের উদ্যোগ নিয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘চলো জিতে হ্যায়: সেবা কা সম্মান’। উদ্যোগটির লক্ষ্য সমাজের অজানা ও নীরব নায়কদের সম্মান জানানো—যেমন নিরাপত্তারক্ষী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ড্রাইভার, পিয়ন প্রমুখ।
শিক্ষাবিদদের মতে, এই ছবি শুধু প্রধানমন্ত্রী মোদীর শৈশবের একটি ঘটনা নয়, বরং বৃহত্তর সামাজিক বার্তা বহন করে। ছাত্রছাত্রীরা এই ছবির মাধ্যমে কেবল মূল্যবোধ নয়, বরং সহমর্মিতা, সামাজিক দায়িত্ব এবং আত্মোন্নয়নের গুরুত্ব বুঝতে পারবে। ফলে আগামী প্রজন্মের মধ্যে সেবার মনোভাব, ঐক্য এবং দায়িত্ববোধ গড়ে তুলতে এটি সহায়ক হবে।