লাগাতার সংসদ অভিযানের ডাক দিল সংযুক্ত কিষান মোর্চা

Political correspondent: ২৯ নভেম্বর শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। ২০২০-র নভেম্বরে নরেন্দ্র মোদি সরকার তৈরি করেছিল নতুন তিন কৃষি আইন। সেই আইন বাতিলের দাবিতে দীর্ঘ…

sanyukt kisan morcha

Political correspondent: ২৯ নভেম্বর শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। ২০২০-র নভেম্বরে নরেন্দ্র মোদি সরকার তৈরি করেছিল নতুন তিন কৃষি আইন। সেই আইন বাতিলের দাবিতে দীর্ঘ এক বছর ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। কিন্তু কৃষকদের এই প্রতিবাদ আন্দোলনে এতটুকু টনক নড়েনি মোদি সরকারের।

ঘটনার জেরে সংযুক্ত কিষান মোর্চা মঙ্গলবার জানিয়েছে, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের (winter season) প্রথম দিন থেকেই তারা লাগাতার সংসদ ভবন অভিযান চালিয়ে যাবে। পুলিশ অনুমতি দিক বা না দিক তারা এই কর্মসূচি অবশ্যই পালন করবে।

সংযুক্ত কিষান মোর্চার নেতা রাকেশ টিকায়েত (Rakesh talayot) মঙ্গলবার বলেন, ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। ওই দিন থেকে যতদিন অধিবেশন চলবে ততদিন পর্যন্ত প্রতিদিনই সংসদ ভবন (parliament) অভিযান কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা। প্রতিদিন একেবারে নিয়ম করে ৫০০ জন কৃষক (farmer) সংসদ ভবন অভিযানে যাবেন। মোদি সরকার যতদিন না এই সর্বনাশা কৃষি আইন বাতিল করবে ততদিন পর্যন্ত তাঁদের এই আন্দোলন চলবে। কোন অবস্থাতেই তাঁরা পিছু হটবেন না। এমনকী, দিল্লি (Delhi) পুলিশ যদি তাঁদের সংসদ ভবন অভিযানের অনুমতি না দেয়, তবে তাঁরা পুলিশের অনুমতির অপেক্ষা করবেন না। টিকায়েতের দাবি, তাঁরা কেউ চিন (chin) বা রাশিয়া (Russia) থাকেন না। তাই সংসদ ভবন অভিযানের জন্য তাঁদের আলাদা করে অনুমতি নিতে হবে তার কোনও মানে নেই।

মোদি সরকারের এই কালা কৃষি আইনের প্রতিবাদ জানাতে এক বছর ধরে আন্দোলন করছে দেশের ৪০টি কৃষক সংগঠন। আগামী বছরের গোড়াতেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট। এই রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম হল গোবলয়ের বৃহত্তম রাজ্য উত্তরপ্রদেশ (utter Pradesh)। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের উপরেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। সে কারণে চলতি মাসের ২২ তারিখে উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউয়ে মহাপঞ্চায়েতের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলেও কৃষক আন্দোলন আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

ওই মহাপঞ্চায়েত সম্পর্কে টিকায়েত বলেন, উত্তরপ্রদেশ সরকার পুলিশ ও প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে যদি কৃষক পঞ্চায়েত ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে উপযুক্ত জবাব দেবেন তাঁরা। পুলিশ যদি কৃষকদের তাঁবু ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা তবে প্রতিটি থানা ও জেলাশাসকের দফতরের সামনে তাঁরা তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।