Saturday, December 6, 2025
HomeBharat২৫ জুন 'সংবিধান হত্যা দিবস', ঘোষণা অমিত শাহের, কী কৌশল বিজেপির?

২৫ জুন ‘সংবিধান হত্যা দিবস’, ঘোষণা অমিত শাহের, কী কৌশল বিজেপির?

- Advertisement -

এবার থেকে ২৫ জুন পালিত হবে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে শুক্রবার ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থা নিয়ে কংগ্রেসকে প্রায়ই নিশানা করে বিজেপি। পাল্টা বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটও মোদী সরকারকে ‘সংবিধান বিরোধী’ বলে তোপ দাগে। কৌশলে যার জবাব ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ ঘোষণা বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisements

এক্স হ্য়ান্ডেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লিখেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ২৫ জুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আমাদের দেশের গণতন্ত্রের আত্মাকে গলা টিপে হত্যা করেছিলেন। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন স্বৈরাচারী মানসিকতা কাকে বলে। বিনা অপরাধে সেই সময়ে জেলে গিয়েছিলেন লাখ লাখ মানুষ। সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধও করা হয়েছিল। সরকার তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতি বছর ২৫ জুন তারিখটিকে সংবিধান হত্যা দিবস হিসাবে পালন করার। ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার সময় যাঁরা ওই অমানবিক বেদনা সহ্য করেছিলেন, তাঁদের প্রতিই সম্মান জানাবে দিনটি।’

   

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এক্স হ্যান্ডেলে গেজেট পোস্ট করে লেখেন, ‘২৫ জুন সংবিধান হত্যা দিবস হিসাবে পালন করা হবে দেশের সংবিধানকে পদদলিত করার স্মৃতি হিসাবে। একইসঙ্গে এই দিনটি তাদের শ্রদ্ধার্ঘ জানানোর জন্য, যারা জরুরি অবস্থার ভুক্তভোগী ছিলেন। কংগ্রেস ভারতীয় ইতিহাসে একটা কালো অধ্যায়ের শুরু করেছিল। ওই দিন সংবিধানকে পদদলিত করার দিন হিসাবে এই দিনটিকে স্মরণ করা হবে।’

ইন্ডিয়া জোটের অনেক শরিকই ইন্দিরার জরুরী অবস্থার বিরোধী। এ দিকে ওই জোটেই রয়েছে কংগ্রেস। মনে করা হচ্ছে যে, ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ উদযাপনের মাধ্যমে আদতে জরুরী অবস্থা নিয়ে বিরোধী শিবিরের মতপার্থক্যকেই প্রকট করার চেষ্টায় বিজেপি।

বাংলার পর এবার মুম্বাইয়েও চুটিয়ে প্রচার মমতার! মারাঠা রাজনীতিতে তৃণমূলের এন্ট্রি?

অমিত শাহ যখন সোশাল মিডিয়া পোস্টে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’-এর ঘোষণা করছেন, তখন মুম্বইতে উদ্ধব টাকরের সঙ্গে বৈঠক করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘মোদী জমানাতেই দেশে সবচেয়ে বেশি জরুরি অবস্থা কায়েম হয়েছে। আমরা জরুরি অবস্থার পক্ষে নই। কিন্তু এখন কী হচ্ছে? ন্যায় সংহিতার নামে কী চলছে? এফআইআর কী ভাবে হবে, কী শাস্তি, কেউ কিছু জানে না। সারা দেশে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রাখা হয়েছে।’

 

Advertisements
- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular