সীমান্তে উত্তেজনা, বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শংকরের সাক্ষাৎ

সীমান্তে উত্তেজনার মাঝেই চীনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন জয়শংকর (S Jaishankar)। লাদাখ ভূখণ্ড নিয়ে দুই নতুন প্রদেশ তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছে। এই ঘটনায় ভারতীয় সীমান্তে…

Border Tensions Escalate, Meeting with Chinese Foreign Minister

সীমান্তে উত্তেজনার মাঝেই চীনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন জয়শংকর (S Jaishankar)। লাদাখ ভূখণ্ড নিয়ে দুই নতুন প্রদেশ তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছে। এই ঘটনায় ভারতীয় সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারত কড়া বার্তা দিয়েছে চীনকে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিতে গিয়ে চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।   

জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) সৌজন্য বিনিময় করেন। করমর্দন করে তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। এই বৈঠকের ছবি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন জয়শংকর। তিনি লেখেন, ‘জি-২০ বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের সুবাদে আজ চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’

   

ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা, বিমান সংযোগ এবং ভ্রমণ সুবিধা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তারপর থেকে সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর জন্য ভারত এবং চিনের সেনাবাহিনী বেশ কয়েকবার আলোচনা করেছে।

গত বছরের অক্টোবর মাসে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে একটি চুক্তি হয়। সেই চুক্তির পর ডেমচক, দেপসাংয়ের মতো একাধিক এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেয় দুদেশ। তবে, পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে লাদাখে উত্তেজনা আবারও বৃদ্ধি পায়। চিন ঘোষণা করে যে তারা লাদাখের অংশ নিয়ে দুটি নতুন প্রদেশ তৈরি করছে। এই ঘোষণা নিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক তীব্র প্রতিবাদ জানায়।

চীনের এই আগ্রাসন নিয়ে ভারতীয় সরকারের ক্ষোভ বেড়ে যায়। ভারতের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানার প্রতিবাদ জানানো হয়। পাশাপাশি, ব্রহ্মপুত্র নদে চিনের বাঁধ তৈরির বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। ভারতীয় সরকার জানিয়েছে, চীনের এই পদক্ষেপ ভারতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপদজনক হতে পারে। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, সীমান্তের পরিস্থিতি এখনও শান্ত হয়নি। তবে এই বৈঠকটি দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টার অংশ। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হতে পারে যদি দু’পক্ষ এভাবে আলোচনায় বসে। বিশেষত, সীমান্তের উত্তেজনা কমানোর জন্য বৈঠকগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

চিনের নতুন প্রদেশ তৈরির সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ভারতীয় রাজনীতিতে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনার পর সীমান্তে আরও অনেক শঙ্কা তৈরি হতে পারে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আরো পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।