রাশিয়ার সঙ্গে তেল চুক্তি নিয়ে পশ্চিমী চাপ, নয়াদিল্লির পাশে সেই পুরোনও মিত্র রাশিয়া

কথায় আছে দুঃসময় যে পাশে দাঁড়ায় সেই বন্ধু। তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে চিরস্থায়ী বন্ধুত্ব বলে কিছু নেই। কিন্তু ভারত-রাশিয়ার (India-Russia Reletion)  সম্পর্ক অনেকটা আলাদাই। যে কোনও…

US President Joe Biden is angry about Modi's visit to Russia, মোদী-পুতিন আলিঙ্গন দেখেই চটে লাল প্রেসিডেন্ট বিডেন! হুমকি নয়াদিল্লিকে

কথায় আছে দুঃসময় যে পাশে দাঁড়ায় সেই বন্ধু। তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে চিরস্থায়ী বন্ধুত্ব বলে কিছু নেই। কিন্তু ভারত-রাশিয়ার (India-Russia Reletion)  সম্পর্ক অনেকটা আলাদাই। যে কোনও বিপদের সময় একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে দুই দেশই। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নজর কেড়েছে সারা বিশ্বের।

ঘুম উড়ল বিজেপির! উত্তর প্রদেশ উপনির্বাচনে অখিলেশের হাত ধরল রাহুলের কংগ্রেস

   

পুতিনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলিঙ্গনের ছবিও ভাল চোখে দেখছে না ইউক্রেন, আমেরিকা সহ পশ্চিমী দুনিয়া। এই প্রেক্ষিতে সস্প্রতি ভারত-রুশ ঘনিষ্টতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে কটাক্ষ করেছে একাধিক পশ্চিমী দেশ। এবার রাশিয়া সফরে সামরিক চুক্তি ছাড়াও তেল ও একাধিক শক্তি সংক্রান্ত চুক্তি করেছে ভারত। আর যারফলে নয়াদিল্লির ওপর বিরাট চাপ বাড়িয়েছে পশ্চিমী দুনিয়া। আর সেই প্রেক্ষিতেই নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়াল মস্কো।

শিশুদের শরীরে হু হু করে ছড়াচ্ছে ‘মারণ’ চাঁদিপুরা ভাইরাস, জানুন এর উপসর্গ

বুধবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে রুশ বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাপরভ (Surgey Laprov) বলেন, ভারত এখন একটি বড় শক্তি। ভারত তাঁর স্বার্থেই স্বাধীনভাবে মিত্র রাষ্ট্র বাছাই করে। সুতরাং তাঁরা কার সঙ্গে চুক্তি করবে এটা সম্পূর্ণ তাঁদের ব্যাপার। এই নিয়ে নয়াদিল্লির ওপর চাপ সৃষ্টি করা সম্পূর্ণ অনৈতিক। লাপরভের এই মন্তব্যকে ঘিরে শোরগোল পড়েছে কূটনৈতিক মহলে।

চালু হচ্ছে মেট্রোর Yellow Line, উপকৃত হবেন লক্ষ লক্ষ যাত্রী

তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফরে যান রাশিয়া। গত ৮-৯ জুলাই দুন দিনের সফরে মস্কো যান তিনি। ভূ-রাজনীতির প্রেক্ষিতে মোদীর রাশিয়া-অস্ট্রিয়া সফরে নজর রেখেছিল পশ্চিমী দুনিয়া, বিশেষ করে আমেরিকা। যা নিয়েই পশ্চিমী দুনিয়াকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছিল মস্কো। সেই সফর নিয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্রের দাবি করেছিলেন ‘মোদীর সফরে ওরা ঈর্ষান্বিত’। এরপর নয়াদিল্লির ওপর পশ্চিমী দেশগুলি যেভাবে চাপ বাড়াচ্ছে তাতে মস্কোর প্রতিক্রিয়া কূটনৈতিক স্বার্থেই স্বাভাবিক বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।