Russian Army: যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ান সেনার পছন্দ ‘মেড ইন বিহার’ বুট

বিগত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে। কবে এই রক্তের হোলি খেলা বন্ধ হবে দুই দেশের মধ্যে, এই প্রশ্নের…

বিগত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে। কবে এই রক্তের হোলি খেলা বন্ধ হবে দুই দেশের মধ্যে, এই প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে কেউই দিতে পারছে না। কিন্তু এসবের মাঝেই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সকলের সামনে উঠে এল, যে সম্পর্কে হয়তো কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি। নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কী? জানলে অবাক হবেন, বিহার ছাড়া রাশিয়ার সেনাবাহিনী (Russian Army) নিজের পায়ে ‘দাঁড়াতে’ অবধি পারবে না। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।

আদতে কৃষিকাজের জন্য পরিচিত বিহারের হাজিপুর জেলার নাম বর্তমানে রাশিয়া এবং ইউরোপ ছড়িয়ে পড়েছে। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার লড়াইয়ে এই হাজিপুর জেলা কিন্তু বিশাল বড় ভূমিকা পালন করেছে। রুশ সেনারা হাজিপুর জেলার একটি স্থানীয় বেসরকারি সংস্থার তৈরি জুতো পরেন। হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এক কথায় ‘মেড ইন বিহার’ জুতো পরে যুদ্ধক্ষেত্রে ঝাঁপাচ্ছেন রুশ সেনারা।

   

বিহারের এই হাজিপুর জেলা এখন রুশ সেনার জুতোর জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছে এবং রাশিয়ার পর এবার ইউরোপে আধিপত্য বিস্তারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে হাজিপুর জেলার জুতোর চাহিদা এখন অনেকটাই বেড়েছে। এখান থেকে রুশ সেনাদের জন্য জুতো পাঠানো ছাড়াও ইউরোপের দেশ ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন ও যুক্তরাজ্যেও ডিজাইনার জুতা রপ্তানি করা হয়।

যে কোম্পানি রাশিয়ার সেনার জন্য জুতো বানাচ্ছে সেই কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার শিব কুমার রায় বলেন, ‘২০১৮ সালে আমরা হাজিপুরে কাজ শুরু করি এবং প্রথম উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় লোকজনকে চাকরি দেওয়া। হাজিপুরে, আমরা প্রতিরক্ষামূলক জুতো তৈরি করি এবং সেগুলি রাশিয়ায় রফতানি করি। এই মুহূর্তে সমস্ত রপ্তানি রাশিয়ায় যাচ্ছে এবং আমরা এখন ইউরোপীয় বাজারে সুযোগের সন্ধান করছি। শিগগিরই স্থানীয় বাজারেও তাদের পণ্য চালু করা হবে।’ আপনাদের জানিয়ে রাখি, বিহারের হাজিপুর জেলা কৃষি পণ্যের জন্য বিখ্যাত।

কোম্পানির দাবি, ‘রুশ সেনাদের বিশেষ চাহিদার ভিত্তিতে আমরা বিশেষ জুতো তৈরি করি। এই জুতোগুলি বেশ হালকা এবং যে কোনও ধরণের আবহাওয়া সহ্য করার ক্ষমতা রাখে। এ ছাড়া পিছলে যাওয়া ঠেকাতে এই জুতোয় বিশেষ ডিজাইন দেওয়া হয়েছে। শূন্য থেকে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায়ও এসব জুতো পরার কোনো প্রভাব পড়ে না।’ সবথেকে বড় কথা, প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ৩০০ জন কর্মী কাজ করছেন, যাদের মধ্যে ৭০ শতাংশই মহিলা।