ভারতের প্রিডেটর মিসাইল! Su-30MKI থেকে লঞ্চ করা হবে রুদ্রম-3

Sukhoi Su-30 MKI

নয়াদিল্লি, ১৩ নভেম্বর: ভারতীয় বিমান বাহিনী (Indian Air Force) শীঘ্রই শত্রুর রাডার সিস্টেম ধ্বংস করার ক্ষমতা অর্জন করবে। এতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। রুদ্রম-III (Rudram-3) ক্ষেপণাস্ত্রটি ডিআরডিও (DRDO) দ্বারা তৈরি করা হচ্ছে। এটি এখন পর্যন্ত ভারতের সবচেয়ে উন্নত অ্যান্টি-রেডিয়েশন ক্ষেপণাস্ত্র। এটি সম্পূর্ণরূপে স্থাপন করতে প্রায় তিন বছর সময় লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Advertisements

এই ক্ষেপণাস্ত্রটি বিশেষভাবে Su-30MKI যুদ্ধবিমানের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। এর পাল্লা ৫৫০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি রাডার নেটওয়ার্ক, বাঙ্কার এবং মোবাইল লঞ্চারের মতো শত্রুর লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে পারে।

   

রুদ্রম-৩ কীভাবে কাজ করবে?
রুদ্রম-৩ (Rudram III) একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এটি শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি গতিতে ভ্রমণ করতে পারে (ম্যাক ৫)। এটি শত্রুর রাডার সংকেত সনাক্ত করে, সেই দিকে নিজেকে পরিচালিত করে এবং তারপর সেগুলিকে ধ্বংস করে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটিতে একটি মডুলার ওয়ারহেড সিস্টেম রয়েছে, যা প্রয়োজন অনুসারে এটিকে বিভিন্ন ওয়ারহেড দিয়ে লাগানোর অনুমতি দেয়। উদাহরণস্বরূপ, ব্লাস্ট-ফ্র্যাগমেন্টেশন ওয়ারহেডগুলি নরম লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়। পেনিট্রেশন ওয়ারহেডগুলি বাঙ্কার বা কংক্রিটের কাঠামো ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়।

Rudram III

Advertisements

উপরন্তু, এতে লঞ্চের আগে লক-অন এবং লঞ্চের পরে লক-অন মোড উভয়ই রয়েছে, যা পাইলটকে উড্ডয়নের সময় লক্ষ্য পরিবর্তন করতে দেয়।

এখন পর্যন্ত কী অগ্রগতি হয়েছে?
ডিআরডিও এবং এইচএএল ২০২৩ সাল থেকে প্রকল্পটি ত্বরান্বিত করেছে। ক্ষেপণাস্ত্রের বেশ কয়েকটি মূল উপাদান, যেমন রাডার সিকার এবং রকেট মোটর, প্রস্তুত এবং উৎপাদনে রয়েছে। ২০২৫ সালের আগস্টে পোখরান থেকে সুখোই-৩০-এ এর উৎক্ষেপণ পরীক্ষা সফল হয়েছিল। ১০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে ম্যাক ১.২ গতিতে সম্পূর্ণ স্থিতিশীলতার সাথে ক্ষেপণাস্ত্রটি বিমান থেকে আলাদা হয়ে যায়।

এখন লাইভ ফায়ারিং ট্রায়ালের সময়, যা ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ শুরু হতে পারে। ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে ব্যবহারকারীর ট্রায়াল শুরু হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, এটি ২০২৮ সালের মধ্যে বিমান বাহিনীতে মোতায়েন করা হতে পারে। তবে, কিছু প্রযুক্তিগত কাজ এখনও বাকি। রাডার সিকারের সংবেদনশীলতা আরও উন্নত করার জন্য এবং হাইপারসনিক গতিতে ওয়ারহেডের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য কাজ চলছে।