সঞ্জয় ভাণ্ডারী কেলেঙ্কারি: ফের রবার্ট ভদ্রাকে তলব ইডি-র

নয়াদিল্লি: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ভগ্নিপতি ও ব্যবসায়ী রবার্ট বঢরাকে আবারও তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। পলাতক অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারীর সঙ্গে জড়িত অর্থপাচার মামলায়…

সঞ্জয় ভাণ্ডারী কেলেঙ্কারি: ফের রবার্ট ভদ্রাকে তলব ইডি-র

নয়াদিল্লি: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ভগ্নিপতি ও ব্যবসায়ী রবার্ট বঢরাকে আবারও তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। পলাতক অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারীর সঙ্গে জড়িত অর্থপাচার মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।

সঞ্জয় মামলায় জড়িয়ে বঢরার নাম

সঞ্জয় ভাণ্ডারী ২০১৬ সালে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। বর্তমানে তিনি লন্ডনে রয়েছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে ভারত সরকার প্রত্যার্পণ চায়। ইডি-র অভিযোগ, ভাণ্ডারী প্রতিরক্ষা চুক্তি থেকে পাওয়া ঘুষের টাকা বিদেশে পাচার করে লন্ডনে একাধিক সম্পত্তি কিনেছেন। সেই সম্পত্তির কিছু অংশে রবার্ট বঢরার নাম উঠে আসায় শুরু হয়েছে তদন্তের নতুন ধাপ।

   

ইডি-র দাবি, ইউপিএ সরকারের সময় ভাণ্ডারী ও বঢরার মধ্যে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল। অভিযোগ, একটি লন্ডনের ফ্ল্যাট শেল কোম্পানির মাধ্যমে বঢ়ড়ার হয়ে কেনা হয়েছিল, যার পেছনে ছিল ভাণ্ডারীর যোগসাজশ।

ভাণ্ডারীকে রবার্ট বঢরার ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগী’ বলে উল্লেখ  robert vadra ed summons

২০২৩ সালে দায়ের করা ইডি-র সম্পূরক অভিযোগপত্রে সঞ্জয় ভাণ্ডারীকে রবার্ট বঢরার ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়েছে, ভাণ্ডারী কিছু এমন লেনদেন করেছিলেন, যার আর্থিক সুবিধাভোগী ছিলেন বঢরা নিজে।

তবে এই অভিযোগগুলি খারিজ করে রবার্ট বঢরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁর সঞ্জয় ভাণ্ডারীর সঙ্গে কোনও ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই এবং তিনি কোনও বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত নন।

এদিকে, ২০২২ সালের নভেম্বরে লন্ডনের একটি আদালত ভাণ্ডারীর ভারত প্রত্যর্পণ অনুমোদন করলেও, তিনি সেই আদেশ UK High Court-এ চ্যালেঞ্জ করেছেন। সেই মামলার শুনানি এখনও চলছে৷ 

Advertisements

তদন্তের পরবর্তী পর্যায়ে রবার্ট বঢরার জবানবন্দি গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাই তাঁকে ফের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Bharat: Rahul Gandhi’s brother-in-law, Robert Vadra, faces fresh ED summons in a money laundering probe linked to absconding arms dealer Sanjay Bhandari. The investigation revolves around alleged financial transactions and London properties. Vadra denies involvement; Bhandari’s extradition case continues in UK courts.