অরুণাচল সীমান্তের ওপারেই রেল-সড়ক-বিমানবন্দর বানাচ্ছে চিন

লাদাখের পর এবার অরুণাচলেও বাড়ছে সেনা তৎপরতা৷ এলওসির ওপারে ক্রমাগত যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করে চলেছে চিন। এটা কোনও বিদেশী সংস্থার রিপোর্ট নয়৷ এই তথ্য পেশ…

লাদাখের পর এবার অরুণাচলেও বাড়ছে সেনা তৎপরতা৷ এলওসির ওপারে ক্রমাগত যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করে চলেছে চিন। এটা কোনও বিদেশী সংস্থার রিপোর্ট নয়৷ এই তথ্য পেশ করা হয়েছে ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কম্যান্ডের তরফে৷

পূর্বাঞ্চলীয় কম্যান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর পি কালিতা সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, এলএসির ওপারে তীব্বত সীমান্তজুড়ে অন্যপক্ষের গতিবিধি লক্ষ্য করা গেছে। অন্যপক্ষ ক্রমাগত তাদের সড়ক, রেল এবং বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করছে। তাদের উদ্দেশ্য, যে কোনও পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় দ্রুত বাহিনীকে একত্রিত করা। তাই সীমান্তে যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতও।

তাঁর কথায়, চিন এলএসি বরাবর নতুন গ্রাম নির্মাণের কাজ জারি রেখেছে। যেটাকে তাঁরা দুইভাবে ব্যবহার করতে পারে। ভারতীয় সেনা বিষয়টির ওপর কড়া নজরদারি রেখেছে। আমরা পরিকাঠামো বাড়ানোর চেষ্টা করছি। যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত আমরা।

সম্প্রতি লাল ফৌজের গতিবিধি সম্পর্কে অবগত করেছে একটি উপগ্রহচিত্র। অরুণাচলের উত্তর সুবনসিরি জেলায় এলএসি লঙ্ঘন করে ভারতীয় এলাকায় ঢুকে চিনা ফৌজ আস্ত একটি গ্রাম তৈরি করে ফেলেছে বলেও একটি উপগ্রহচিত্রে দাবি করা হয়েছিল। তারপর থেকেই নজরদারি বাড়িয়েছে ভারত। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরি হলে যাতে সেনা ও রসদ পাঠানো যায় সেই ব্যবস্থাই করছে চিন৷ এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গত কয়েক বছর ধরেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দীর্ঘ সময় ধরে পূর্ব লাদাখে যুযুধান দুই পক্ষ। একাধিকবার সেনা পর্যায়ের বৈঠকের পরেও বরফ গলেনি। চলতি বছরেই ভারত সফরে আসেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। একাধিক দফার আলোচনায় শান্তির বার্তা দিয়ে এসেছে ভারত। এখন ফের বেজিংয়ের তৎপরতায় নড়ে বসেছে দিল্লি৷