Murder: রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি, খাল থেকে উদ্ধার দেহ

রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডের (Murder) ছায়া যেন ফের দেখা দিল অন্ধ্রপ্রদেশে। কাহিনি প্রায় এক! প্রেম, পরিবারের অমতে বিয়ে এবং তার কিছুদিন পরই বরফ হয়ে যাওয়া স্বামীর…

Murder: রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি, খাল থেকে উদ্ধার দেহ

রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডের (Murder) ছায়া যেন ফের দেখা দিল অন্ধ্রপ্রদেশে। কাহিনি প্রায় এক! প্রেম, পরিবারের অমতে বিয়ে এবং তার কিছুদিন পরই বরফ হয়ে যাওয়া স্বামীর দেহ। অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুল জেলার এই ঘটনায় ফের প্রশ্ন উঠেছে— কতটা চিনে নেওয়া যায় সেই মানুষটিকে যাঁর সঙ্গে জীবনের পথ চলা শুরু?

এই ঘটনায় মৃত যুবকের নাম তেজেশ্বর (৩২)। পেশায় ল্যান্ড সার্ভেয়ার হলেও পাশাপাশি একজন নৃত্যশিল্পী ও প্রশিক্ষকও ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ঐশ্বর্য্যের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বহুদিনের। কিন্তু পরিবার এই সম্পর্ক নিয়ে একেবারেই সন্তুষ্ট ছিল না। এর কারণেও নানা টানাপোড়েন চলছিল দুই পরিবারে।

   

জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও, আচমকা ঐশ্বর্য্য নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে সে ফিরে আসলে, দুই পরিবার কিছুটা অনিচ্ছা সত্ত্বেও মে মাসে বিয়েতে সম্মতি দেয়। ১৮ মে অনুষ্ঠিত হয় তাঁদের বিয়ে।

তবে সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলছিল না। বিয়ের এক মাস কাটতে না কাটতেই ১৭ জুন তেজেশ্বর হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ জানানো হয়। টানা পাঁচদিন পর ২৩ জুন, কুর্নুলের একটি খাল থেকে উদ্ধার হয় তাঁর নিথর দেহ। মৃতদেহ পচাগলা অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তেজেশ্বরের পরিবার সরাসরি অভিযোগ এনেছে ঐশ্বর্য্য ও তার মা সুজাতা-র বিরুদ্ধে। তাঁদের দাবি, সুজাতা একজন ব্যাঙ্ককর্মী। ঐশ্বর্য্যের ওই ব্যাঙ্কেরই আরেক সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। দুই সম্পর্কই নাকি একসঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছিল সে।

পরিবারের দাবি অনুযায়ী, ঐশ্বর্য্য জোর করে তেজেশ্বরকে বিয়েতে বাধ্য করে, যাতে সমাজের চোখে সম্পর্ককে বৈধতা দেওয়া যায়। বিয়ের পরও আগের সম্পর্ক বজায় রাখার ফলে তেজেশ্বর তা জানতে পারে। এরপর থেকেই শুরু হয় মনোমালিন্য। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই কারণেই হতে পারে তেজেশ্বরের মৃত্যুর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র।

Advertisements

স্থানীয় পুলিশ ঐশ্বর্য্য ও তাঁর মা সুজাতাকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। ফরেনসিক রিপোর্ট ও কল রেকর্ডের ভিত্তিতে আরও তথ্য মিলতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

তেজেশ্বরের পরিবারের এক সদস্য বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই ঐশ্বর্য্যকে সন্দেহ করছিলাম। আমাদের বারবার না শোনার ফলেই এই পরিণতি। আজ আমাদের ছেলেটা আর নেই। আমরা কড়া শাস্তি চাই।”

এই ঘটনা ঘিরে কুর্নুল এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, প্রেম কি এতটাই অন্ধ হয়ে যায় যে মৃত্যুকেই ডেকে আনে? নাকি এ শুধুই ঠান্ডা মাথায় সাজানো একটি খুন?

তদন্ত এখনো প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, দ্রুত চার্জশিট তৈরি করে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

এই ঘটনা ফের মনে করিয়ে দিচ্ছে, প্রেম ও বিশ্বাসের সম্পর্ক যদি ভিত্তিহীন হয়, তবে তা কতটা ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে!