Sri Lanka: আর্থিক সংকটে শ্রীলঙ্কা, সমুদ্র পেরিয়ে তামিলনাড়ু আসছেন হাজার হাজার উদ্বাস্তু

শ্রীলঙ্কায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশচুম্বী দামের প্রভাব পড়তে পারে ভারতে। বাড়াতে পারে শরণার্থীর সংখ্যা। শ্রীলঙ্কার উদ্বাস্তুরা ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুতে আসতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার রামেশ্বরমের চতুর্থ দ্বীপের কাছে…

শ্রীলঙ্কায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশচুম্বী দামের প্রভাব পড়তে পারে ভারতে। বাড়াতে পারে শরণার্থীর সংখ্যা। শ্রীলঙ্কার উদ্বাস্তুরা ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুতে আসতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার রামেশ্বরমের চতুর্থ দ্বীপের কাছে ভারতীয় উপকূলরক্ষীরা ৪ শিশু সহ ৬ জন শ্রীলঙ্কার তামিলের একটি পরিবারকে খুঁজে পায়। তাঁদের উপকূলীয় সুরক্ষা দলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এখানেই শেষ নয়। বুধবার, ৫ শিশু সহ আরও ১০ জন ভারতীয় উপকূলে পৌঁছেছে। শরণার্থীদের মধ্যে একজন বলেন যে শ্রীলঙ্কায় বেঁচে থাকার পরিস্থিতি নেই। তাই তিনি ভারতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু, সমুদ্র পার হওয়ার সময়, ইঞ্জিন কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় তাদের নৌকাটি সমুদ্রে আটকে পড়ে। কোনওরকমে তারা মাঝরাতে তামিলনাড়ু পৌঁছা হয়।

শিভা নামে আরেকজন উদ্বাস্তু জানান, চাল, পাম তেল ও পেট্রোলের ঘাটতি রয়েছে শ্রীলঙ্কায়। তিনি বলেন, “এক কেজি চালের দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। আমি মান্নারে কাজ করতাম। আমি আমার স্ত্রী এবং আমার বোনের পরিবারের সাথে চলে এসেছি। আরও অনেক পরিবার চলে আসার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। আমরা ১৯৯০ সালে তামিলনাড়ুতে আসি। ১৫ বছর মন্ডপ ক্যাম্পে থাকি এবং তারপর ফিরে যাই। এখন আমাদের আবার ফিরে আসতে হচ্ছে।”

জানা গিয়েছে, শ্রীলঙ্কা থেকে ১৬ জন উদ্বাস্তু এখনও পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে এসেছে। গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের কারণে সেখানে টিকে থাকতে পারেনি তাঁরা। কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া ভারতে আসার কারণে প্রটোকল অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। Rehabilitation and Welfare of Non Resident Tamils এর কমিশনার জ্যাসিন্থা লাজারাস বলেছেন, “আমরা সরকারকে রিপোর্ট জমা দিয়েছি। তামিলনাড়ু সরকার এবং ভারত সরকারের মধ্যে আলোচনার পরই ওদের অবস্থা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”